‘খয়রাতি’ শব্দ ব্যবহার ছোট মানসিকতার পরিচয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ জুন ২০২০, ১২:৫৩ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২০, ১২:৫৩ PM
চীনে সম্প্রতি বাংলাদেশের পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়াকে ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘খয়রাতি’ উল্লেখ করাকে ‘ছোট মানসিকতার পরিচয়’ বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদন নজরে এসেছে আমাদের। চীনের দেয়া সুবিধা নিয়ে যে শব্দের ব্যবহার করেছে তা অগ্রহণযোগ্য। তবে এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে চাই না আমরা। যারা এমন ভাষা ব্যবহার ‘সাংবাদিকতার নৈতিকতা বিবর্জিত’ কাজ বলেও মনে করেন তিনি।
গত ১৯ জুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীনের বাজারে পাঁচ হাজার ১৬১টি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে দেশটিতে শুল্কমুক্ত পণ্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ২৫৬টি। এতে চীনে রফতানি পণ্যের ৯৭ শতাংশই শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের পেটানো চীন বাংলাদেশকে এমন সুবিধা দেওয়ায় নাখোশ হয় সেদেশের গণমাধ্যম। সে কারণে এই সুবিধাকে ‘খয়রাতি’ উল্লেখ করে ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে। তাদের দাবি বাংলাদেশকে এ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কাছে টানতে চাইছে চীন। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা ছাড়াও ‘২৪ ঘণ্টা’র সংবাদের শিরোনামেও ‘খয়রাতি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের এই সুবিধা আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ফসল। অনেকদিন ধরেই এই সুবিধা চীনের কাছে দাবি করে আসছিলাম। সম্প্রতি করোনা মহামারির কারণে আমাদের অর্থনীতি ধাক্কা খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধু দেশের কাছেই সহায়তা চাই। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক পণ্যে দুই বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছি। তারা বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে।
তিনি বলেন,প্রতিবেশী ভারতের কাছেও এমন সুবিধা চেয়েছি। চীন খুবই উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিয়েছে। আশা করি শুল্কমুক্ত সুবিধা বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনবে। এটা খয়রাতি নয়। ভারত সরকারও কোনো কিছু বলেনি। তবে কয়েকটি পত্রিকা আপত্তিকর মন্তব্য করেছে, যা কোনোভাবেই ব্যবহার করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।