গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকরী নয়, তবে সহায়ক- যা বলছে বিএসএমএমইউ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের জন্য কার্যকর না হলেও যারা একবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন তাদের জন্য কার্যকর। ফলে এই কিট রোগের ব্যাপ্তি বিচার, কোভিড প্লাজমা বিতরণ, কোয়ারেন্টাইনের সময় নির্ধারণ আর লকডাউনের রূপরেখা তৈরিতে সাহায্য করতে পারে।
আজ বুধবার (১৭ জুন) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের কার্যকারিতা নিয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে জমা দেওয়া রিপোর্টে এমন অভিমত দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষকরা।
এর আগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্ত করণে কার্যকরী নয়। তবে যেসব স্থানে প্রচলিত আরটিপিসিআর পদ্ধতি চালু নেই অথবা যাদের কোভিড উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও আরটিপিসিআর ‘নেগেটিভ’ এসেছে তাদের ক্ষেত্রে এই কিটটি কিছুটা সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
গত ১২ মে গবেষণার জন্য ২০০টি এন্টিবডি পরীক্ষা কিট বিএসএমএমইউ এর গবেষণা দলকে দেয় গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যাল। তবে মাত্র সাত দিন পর রক্তের বদলে লালা সংগ্রহের অনুরোধ জানায় গণস্বাস্থ্য। পরে লালাতে পরীক্ষার ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় লালায় এন্টিজেন পরীক্ষা স্থগিত রেখে শুধু এন্টিবডি কিটের গবেষণা করার অনুরোধ করে তারা।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর গণস্বাস্থ্যের কিট গবেষণার জন্য এক বছর সময় দিলেও মাত্র এক মাসের মধ্যেই মূল্যায়ন রিপোর্ট দিল গবেষণা দল। গবেষণায় ৫০৯টি রক্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে, একশো জনে প্রথম সপ্তাহে ১১ জন, দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪০ জন এবং দুই সপ্তাহ পরে ৭০ জনের দেহে কোভিড শনাক্ত করতে সক্ষম হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট।
বিএসএমএমইউ ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইপ উল্লাহ মুন্সী বলেন, দেশের অন্যান্য যে কিটগুলো রয়েছে সেইগুলো ৯৯ শতাংশ কাজ করে। কিন্তু গণস্বাস্থ্যের এই কিটটি ৭০ শতাংশ কাজ করে।
এই বিষয়ে বিএসএমএমইউ এর প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি গণস্বাস্থ্যের কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল।