ডা. ফেরদৌস কোয়ারেন্টিনে কেন জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ
আমেরিকা থেকে দেশে ফেরা ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে কোন আইনে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। আজ শুক্রবার (১২ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সালের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা।
নোটিশটি ই-মেইলের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের সুপরিচিত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার গত ৭ জুন বিকাল পৌনে (স্থানীয় সময়) বাংলাদেশে আসেন। একইদিন একই সময়ে কাতার এয়ারওয়েজের দ্বিতীয় বিশেষ বিমান দেশটির নিউ ইয়র্ক থেকে ১১২ বাংলাদেশিকে আনা হয়েছে। যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রী, উচ্চ ডিগ্রি অর্জনে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী, দর্শনার্থী, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী রয়েছে। এর আগেও গত ১৫ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৪২ জন বাংলাদেশিকে দেশে আনা হয়।
এ ছাড়া গত ৮ জুন করোনা মোকাবেলায় চীন থেকে চীনের বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় এসেছে। তাদের কাউকেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়নি। সেখানে শুধুমাত্র ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যায়। তাকে ঢাকার ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনে নেওয়ার ক্ষেত্রে সকলকে সমানভাবে বিবেচনা করা হয়নি, যা বাংলাদেশের সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
নোটিশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এটুআই, ইনোভশন ল্যাব এবং ই-জেনারেশনের একটি যৌথভাবে ‘সহযোদ্ধা’ নামক একটি ভার্চুয়াল প্লাজমা নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে (www.shohojoddha.com)। যারা ইতিমধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তাদের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে চাহিদা মোতাবেক সেটি সরবরাহে স্বাস্থ্য খাতকে সহায়তা করতেই এই প্ল্যাটফর্ম করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, দেশের এই ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ সরকার করোনা যোদ্ধা ডা. ফেরদৌস খন্দকারদের মত মানুষদের খুঁজছে এবং তিনি শুধুমাত্র প্লাজমা হিরো হিসেবেই নন একজন প্রথিতযশা ডাক্তার হিসেবে দেশের অনেক মানুষের উপকারে আসতে পারেন।