এই মোশতাক সেই মোশতাক নয়, মজার তথ্য দিলেন ডা. ফেরদৌস (ভিডিও)
‘আমি আসছি, দেখা হবে বাংলাদেশে’- নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকারের এমন স্ট্যাটাসের পরপরই দেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন- তিনি ‘খন্দকার মোশতাক আহমেদের ভাতিজা’, ও ‘খুনি কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই’। যদিও বরাবরই তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
এই সম্পর্কের কোন ভিত্তি নেই বলে আগেই জানিয়ে দিয়ে গতকাল রোববার বিকেলে দেশে ফেরেন ডা. ফেরদৌস। তবে বিমানবন্দর থেকে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এর মধ্যে আজ ফেসবুক লাইভে এসে জানান, খন্দকার মোশতাক আহমেদের সঙ্গে তাদের পরিবারে কোন সম্পর্ক নেই। তবে মোশতাক ও খন্দকার নামের সঙ্গে তার এক ধরনের সম্পর্ক রয়েছে এবং আসলে কোন মোশতাক আহমেদের ভাতিজা তিনি এই রহস্য উন্মোচন করেন ডা. ফেরদৌস।
কোন খন্দকারের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে, সেই বিষয়ে জানাতে ফেসবুক লাইভে পরিবারের পরিচয় তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমার দাদা ১৯৪৯ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। আমার বাবার বয়স তখন খুবই অল্প। বোধ হয় চার বছর। আমার বাবারও দাদার স্মৃতি মনে নেই। আমার দাদা তার বাবার একমাত্র ছেলে। তার নাম ছিল রিয়াজ উদ্দীন খন্দকার। আমরা সবাই কুমিল্লার দেবিদ্বারের ছোট্ট একটি গ্রামে থাকতাম। আমার নানি যিনি উনার খালা হন, বাবার সঙ্গে তার মেয়ে বিয়ে দেন। বাবা খুব ভালো স্টুডেন্ট ছিলেন।”
আমেরিকা যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, “এরপর বাবা বিমানবাহিনীতে ঢোকেন। খুব ভালো করেন। বাবার একমাত্র ছেলে আমি। আমার দুটি ছোট বোন রয়েছে। বাবার একটি ছোট বোন রয়েছে। তিনি গ্রামে থাকতেন। পরে আমরা গ্রাম থেকে শহরে চলে আসি। চারজনের একটি ছোট্ট পরিবার। এরপর আমরা বিদেশে চলে যাই।”
ফেসবুকে পুরো বিষয়টিকে ‘ইন্টারেস্টিং (মজার) দাবি করে মোশতাক নামের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে বলেন, ‘আর আমার মায়ের বাড়ি দেবিদ্বারের পাশের ছোট্ট গ্রামে। নানা সামরিক বাহিনীর একাউন্টস ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন। খুব সহজ-সরল মানুষ। তার ছয় ছেলে এক মেয়ে। তার বড় ছেলে খোরশেদ আনোয়ার। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। এমনকি সে সময়ে ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন। পরে ফার্মাসিস্ট হয়ে আমেরিকা চলে গেছেন। এরপর দ্বিতীয় মামাও ঢাকার বনানীতে থাকেন তিনিও মুক্তিযোদ্ধা।”
“আর বাকি চার মামা আমেরিকা থাকেন। এদের মধ্যে চার নম্বর মামার নাম হলো মোশতাক আহমদ। কিছু দুষ্ট লোক তার নামের প্রথম অংশের সঙ্গে আমার নামের খন্দকার মিলিয়ে বলতে শুরু করেছেন- আমি নাকি খন্দকার মোশতাক আহমদের ভাতিজা।”
যদিও একটি সত্য রয়েছে। আমি ঠিকই মোশতাক আহমদের ভাতিজা। তবে সেটি খুনি মোশতাক আহমদ নয়। আশ্চর্যজনক হলোও সত্যি যে, আমার মামা মোশতাক আহমদ এখনো জীবিত আছেন। তার বয়স হবে ৫৩ বছরের মতো। আর কাল্পনিকভাবে খুনি রশিদের সাথেও এটি মিলিয়ে দিয়েছে তারা।
তথ্যমতে, ডা ফেরদৌাস ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তিনি মূলত নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে রোগী দেখতেন। ডা. ফেরদৌস খন্দকার পড়াশুনা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে।