০৮ জুন ২০২০, ১২:০৫

আপনাদের জন্য আনা ৮ স্যুটকেস মাস্ক, গ্লাভস পিপিই রেখে দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ

মহামারি করোনা তাণ্ডবে সেবার ব্রত নিয়ে নিউ ইর্য়ক থেকে বাংলাদেশে ফেরা ডা. ফেরদৌস বলেছেন, আপনাদের জন্য আনা আট স্যুটকেস মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই আটকে দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। দেশের ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা ডাক্তার, নার্স ভাই-বোনদের দেব বলে এইগুলো এনেছিলাম। কিন্তু বিমানবন্দরে ট্যাক্স দেয়ার কথা বলে তারা সেগুলো রেখেই দিয়েছে। এই রকম করোনা ক্রান্তিকালে তারা এইগুলো রেখে দিল।

আজ সোমবার ১৪ দিনের কোয়ানেন্টিনে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। সেখানে গতকাল বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের কেউ যদি থাকেন সেগুলো ছাড়িয়ে নিতে পারেন। ফ্রন্টলাইনের যে কাউকে দিতে পারেন আমার কোন দাবি নেই। আমি এসেছি আপনাদের কাছে। আমার কাজটুকু আমি করেছি। পোর্টে যদি আপনাদের মধ্যে কেউ দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকেন তাহলে বাকি কাজটুকু করবেন। মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিইগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে যেকোন একটি হাসপাতালে দিয়ে দিবেন। এটি আমার অনুরোধ।

এর আগে তিনি বলেন, আমিতো কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বাংলাদেশে আসিনি। এসেছি মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য। করোনা তাণ্ডবকালে একটি দিন আমার কাছে একটি মাসের মতো। এখন একটি দিন আগে পেলে মানুষের সেবায় দিনটি আমি ঢেলে দেব। কিন্তু ১৪ দিন এখানে থাকতে হলে দেশের মানুষের জন্য আমি অনেক কিছুই করতে পারবো না। এখানে যেভাবে আমাকে রাখা হয়েছে, সেটি অনেক হতাশার, অপমানের।

দেশের টানে মানুষের সেবায় শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে নিউ ইর্য়ক থেকে এসেছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। দেশের ক্রান্তিকালে করোনা প্রতিরোধে কাজ করবেন, মানুষের সেবায় নিয়োজিত হবেন- এই তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু বিমান বন্দরে নামার পরই ঘটল বিপত্তি।

রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত নিজ বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ না দিয়ে তাঁকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে হজ্ব ক্যাম্পের সাততলায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে (অ্যান্টিবডি), আমেরিকার মেডিক্যাল সেন্টারে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার সেই সনদ দেখানোর পরও কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাড়ি যেতে দেয়নি। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।

ডা. ফেরদৌস বলেন, অ্যান্টিবডি সনদ থাকার পরও কী কারণে এভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে? ৩০ বছর পর আমাকে এখন প্রমাণ করতে হচ্ছে, আমি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির মানুষ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমার পরিবার খুনি মোস্তাকের পরিবারের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই! আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই ষড়যন্ত্রের আমি বিচার চাই।