আমি আসছি, দেখা হবে বাংলাদেশ
করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে সাফল্য পেয়েছেন বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকার। আলোচিত এই ডাক্তার এবার নিজের মাতৃভূমির মানুষকে করোনা থেকে বাঁচানোর যুদ্ধে শামিল হতে নিউ ইয়র্ক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হচ্ছেন।
আজ শনিবার তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি আসছি, দেখা হবে বাংলাদেশ। ডা. ফেরদৌস খন্দকার নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ডাক্তার।
ডা. ফেরদৌস ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, কি লাভ এত করে? মানুষ প্রায়ই আমাকে এই প্রশ্নটি করে। আমি উত্তর দেই না। আমি মনে মনে তাদের উদ্দেশ্যে বলি, তোমরা সত্যিই অভাগা। ভালোবাসার টান, মায়ের প্রতি, দেশের প্রতি; সেটি তোমরা মনে হয় অনুভব করতেই পারলে না। অনেকেই বলেন, এই টাকা দিয়ে তুমি একটা ব্যবসায় করতে পারতে, একটা অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে পারতে কিংবা জমাতে পারতে।
তিনি আরও লিখেছেন, তখনো আমি একই উত্তর দেই, বোকার স্বর্গে আছো তোমরা। দুনিয়াতে মায়ের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা বা সুযোগ সবার আসে না। আমি সেই ভাগ্যবান মানুষদের একজন হতে চেয়েছি, যারা দেশ মাকে ভালোবেসে, দেশকে ভালোবেসে বোঝাতে চেয়েছি:ভালোবাসা অমূল্য। বড্ড ভালোবাসি মা তোমায়। আর তাইতো এই সামগ্রীগুলো দেশের সম্মুখ-সারির যোদ্ধাদের জন্য বড় যত্ন করে নিয়ে যাচ্ছি সাথে করে। আলো আসবেই। আমি আসছি, দেখা হবে বাংলাদেশ।
এর আগে নিউইয়র্কের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. ফেরদৌস খন্দকার বলেছেন, নিউইয়র্কের অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো। করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। এখানকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। নিয়ম মেনে দীর্ঘদিন ঘরে থাকায় বর্তমানে বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে করোনায় আক্রান্ত নেই বললেই চলে। কিছুদিন আগেও বাসায় গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়েছি। এখন পরিস্থিতি অনেক ভালো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আস্তে আস্তে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য আমার মনে হচ্ছে, মহামারির এই দুঃসময়ে দেশের মানুষের পাশে থাকাটা জরুরি। দেশ আর দেশের মানুষের জন্য সব সময় আমার মন কাঁদে। ফ্লাইট চালু থাকলে আরো আগেই যেতাম। আমার দ্বারা যদি কিছু মানুষের উপকার হয়, সেটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। এলাকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতা এবং মানসিক শক্তি বাড়ানো এ মুহূর্তে খুব প্রয়োজন।