চট্টগ্রামে স্টেডিয়াম হবে করোনার আইসোলেশন সেন্টার!
দেশের করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন করোনা সংকট কাটাতে যে কোনো সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে রেখেছেন।
দুই মাস আগেই তিনি বলে রেখেছেন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা, আইসোলেশন সেন্টার ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে যদি দরকার পড়ে, তাহলে ঢাকার শেরে বাংলা ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামও দিয়ে দেয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত দেশের ওই দুই শীর্ষ ক্রিকেট ভেন্যুর কোনোটাই করোনা আক্রান্তদের জন্য ব্যবহৃত হয়নি।
তবে শোনা যাচ্ছে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামকে করোনার আইসোলেশন সেন্টার করার পরিকল্পনা চলছে। এমন আভাস দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও।
এদিকে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার আব্দুল বাতেন জানান, আমাদের বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন ভাই অনেক আগেই বলে রেখেছেন করোনা সংকট মোকাবিলায় যদি আমাদের দুই মূল ভেন্যু শেরে বাংলা ও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের দরকার পড়ে, আমরা তা দিয়ে দেব। তারই ধারাবাহিকতায় এখন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আইসোলেশন ব্যবস্থার কথা জানানো হয়েছে আমাদের।
তিনি বলেন, যেহেতু একদম চারিদিক বন্ধ, তাই চাইলেও ড্রেসিংরুমে আইসোলেশন সেন্টার করা যাবে না। ওইরকম বদ্ধ ও রুদ্ধ জায়গায় করোনা রোগীর আইসোলেশন সম্ভব নয়। তার চেয়ে আমরা মনে করি হসপিটালিটি বক্সগুলো হলো সর্বোত্তম। আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে শেরে বাংলা ও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের হসপিটালিটি বক্সগুলো অনায়াসে ব্যবহার করা যাবে। সেগুলোও মূলত কাঁচঘেরা ঘর। একসাথে সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ জন বসতে পারে। সেখানে বেড ব্যবস্থা করলে হয়ত ৪-৫ জন থাকতে পারবে একটাতে। কাঁচঘেরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওই হসপিটালিটি বক্সগুলো খোলামেলা আছে। জানালা খোলা যায়, খুললেই সবুজ মাঠ। সেখানে একজন-দু’জন নয়, কোনো আক্রান্ত পরিবারও অনায়াসে এক বক্সে থাকতে পারবে।
বাতেন আরও জানিয়েছেন, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের হসপিটালিটি বক্স প্রস্তুত আছে। সরকার চাইলেই তা নিয়ে করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।