আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছে মানুষ
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে রাতভড় ঝড়ো হাওয়া ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোলার ১১০৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। আর আগে মঙ্গলবার থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোলার আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪ লাখ মানুষ আশ্রয় নেন। এছাড়াও নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয় প্রায় ২ লাখ গবাদী পশুকে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ভোলায় বুধবার রাতভর ঝড়ো বাতাস ও থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। তবে এখানে বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও সদর ও চরফ্যাশন উপজেলার চরাঞ্চলের ১০-১৫টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ভোলা সদরের রাজাপুরের ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত বোরহানউদ্দন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মো. রফিকুল ইসলাম ও ঝড়ে গাছচাপা পড়ে নিহত চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচার মো. ছিদ্দিক ফকিরের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগত ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও পরবর্তীতে আরো অনুদান দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বুধবার ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, চর পাতিলা, কুকরী-মুকরী, মনপুরা উপজেলার কলাতলির চর, মহাজনকান্দি, চর নিজামসহ ১৫টি গ্রাম প্লাবিত করে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জোয়ারের পানিতে ফের প্লাবিত হয়েছে ওইসব গ্রাম। তবে পানির পরিমাণ গতকালের চেয়ে কিছুটা কম।
এদিকে ফসলি ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব না পাওয়া গেলেও বেশকিছু এলাকায় গাছপালা উপরে পড়া এবং কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া, বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে নদীর তীরবর্তী বেশকিছু বসতি এলাকা ও কৃষিজমি প্লাবিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।