ঘূর্ণিঝড় আম্ফান: বুধবার সকালে ‘মহাবিপদ’ সংকেত
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় বুধবার (২০ মে) সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে ডা. এনামুর রহমান বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৭৬৫ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটির বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৪৫ কিলোমিটার, যার কারণে এটাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় বাংলাদেশ উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করবে। ওই সময়ে আর কাউকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া সম্ভব হবে না। আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কোনো জেলায় কতজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে তার জন্য কন্ট্রোল রুম থেকে জানছি। রাত ৮টার মধ্যে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে আশা করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আজকে রাতের মধ্যে সাইক্লোন শেল্টারে আনা সমাপ্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। আগামীকাল সকাল ৬টার সময় মহাবিপদ সংকেত দেখানো হবে। মহাবিপদ সংকেত দেখানোর পর আর লোকজনকে বাড়িঘর থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার সুযোগ থাকবে না।
ফণিতে ১৮ লাখ ও বুলবুলের সময়ে ২২ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছিল বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।