আম্পানে নতুন সতর্কতা: হতে পারে ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাস
সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট এলাকায় আম্পান প্রভাব শুরু হয়েছে। এর আগে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রথমে চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কথা বলা হলেও এখন বলা হচ্ছে, পাঁচ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আম্পানের কারণে চার ধাপে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। সতর্ক সংকেত, ঘূর্ণিঝড় জনিত জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা, ঝড়ো হাওয়ার সতর্কতা এবং জেলেদের জন্য সতর্কতা-এ চার ধাপে সতর্ক করছে তারা।
ঘূর্ণিঝড় জনিত জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতায় বলা হয়, উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ ১৯ মে শেষরাত থেকে ২০ মে সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে আম্পান। এই সময় কিছুটা পরিবর্তনও হতে পারে। আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতরের অফিসিয়াল পেজে আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান জানান, সুপার সাইক্লোনটি এখন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সাইক্লোনটি দেশের চার সমুদ্র বন্দর থেকে ৭০০ থেক ৮০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সবচেয়ে কাছে আছে মোংলা ও পায়রা। অথাৎ এই বন্দরের কাছাকাছি আসবে আগে। সুপার সাইক্লোন ’আম্পান’ প্রথমে উত্তর দিকে এগিয়ে এরপর বাঁক নিয়ে এখন উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আবহাওয়া বিভাগের বিশেষ বিজ্ঞপ্তির প্রথম ধাপে আছে সতর্ক সংকেত। এতে বলা হয়, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। একইভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
ঝড়ো হাওয়ার সতর্কতায় বলা হয়, আম্পান অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা গুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।