বাজারে ক্রেতা না থাকায় কৃষিপণ্যের চাহিদা কমেছে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক  © ফাইল ফটো

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বড় শহরের বাজারে ক্রেতা না থাকায় ও জনগণের আয় কমে যাওয়ায় কৃষিপণ্যের চাহিদা কমেছে। ফলে পাইকার ও আড়তদাররা কৃষিপণ্য ক্রয়ে আগ্রহ হারাচ্ছেন। কৃষিপণ্য পরিবহন শেষে ট্রাক খালি ফেরার আশঙ্কায় ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এ সব কারণে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে বেশির ভাগ উৎপাদিত ফল ও সবজি।

আজ শনিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আম, লিচুসহ মৌসুমি ফল এবং কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে অনলাইনে (জুম প্ল্যাটফর্মে) মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আম, লিচু, আনারস, কাঁঠালসহ মৌসুমী ফল বাজারে আসতে শুরু করেছে। এসব মৌসুমী ফল সঠিকভাবে বাজারজাত না করা গেলে চাষিরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’

সভায় খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ফড়িয়ারাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পরিচয় পত্র ইস্যু এবং ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা বাড়াতে হবে।

বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি তাজুল ইসলাম জানান, এই সংকটের সময় তারা পাশে থেকে কাজ করবেন। আম-লিচু পরিবহণের কোনও সংকট হবে না বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী, খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ