করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন: ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জীবনের পাশাপাশি জীবিকার চাকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ ছুটি শিথিল করেছেন। তিনি সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
আজ বুধবার (১৩ মে) সকালে তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সব দেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। যারা মনে করছেন এ সিদ্ধান্ত ভুল তাদেরকে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং বিশ্বের দিকে তাকিয়ে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি সারাদেশে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে মশক নিধনে কার্যকর প্রস্তুতি নেয়া আহবান জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর এ সময়ে মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে বলে গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। এডিস মশা থেকে মুক্তি পেতে সামাজিক সচেতনতা জরুরি হয়ে পড়েছে। ঘর বা বাড়ির চারপাশে যাতে পানি না জমে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
কাদের বলেন, দেশের যেকোনো দুর্যোগে আর্তমানবতার পাশে সবার আগে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। দুর্যোগকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। দলের সভানেত্রীর নির্দেশে নেতাকর্মীরা সারাদেশে অসহায় মানুষের দূর্যোগে আশার আলো হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা, নগদ সহায়তা, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, টেলিমেডিসিন, লকডাউন এলাকায় রাতে খাবার পৌঁছানো, ইফতার ও সেহরি বিতরণ, সবজি বিতরণসহ কৃষকদের ধান কেটে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঘরে তুলে দিয়েছেন।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তাসহ প্রায় ১০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে সারাদেশের ৫০টি জেলার ১৫০টি উপজেলায় খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ বিতরণ কার্যক্রম এখনো অব্যাহত রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের মধ্যে চার দফা খাদ্য বিতরণ, দুই শতাধিক সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করেছে ত্রান উপ-কমিটি। এরই মাঝে পাঁচ লাখের বেশি জীবাণু রোধক সাবান দশ হাজারের বেশি স্যানিটাইজার, দুই হাজারের বেশি পিপিই এবং একশো’র বেশি থার্মাল থার্মোমিটার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, দলীয় কার্যক্রম ছাড়াও সরকারি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার চার কোটি মানুষের মাঝে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। ৬৪টি জেলায় প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এক কোটি মানুষকে রেশনের আওতায় আনা হয়েছে। ঈদের আগে ৫০ লাখ মানুষকে নগদ সহায়তা প্রদান করা হবে।
বয়স্ক অসহায় নারী-পুরুষ ও পথ শিশুদের সহায়তার জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটি অশুভ মহল ত্রাণ বিতরণ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অপপ্রচারে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। খবর: বাসস।