ঈদের ৪ দিন আগে থেকে সব যান চলাচলে কঠোরতা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই দফায় ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে ৩০ মে পর্যন্ত। আগামীকাল এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি জানান, সাধারণ ছুটির এ সময়টাতে গণপরিবহন চলবে না। এমনকি ঈদের আগের ৪ দিন এবং পরের ২ দিন মোট ৭ দিন যানবাহন চলাচল কঠোরতা অবলম্বন করা হবে। এর আগে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। সে সময় সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।
খোঁজে জানা গেছে, সাধারণ ছুটি চলাকালীন গণপরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও একমাত্র বাস ছাড়া রাজধানীতে চলছে সব ধরণের যানবাহন। অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ের চালকরা মানছেন না নিষেধাজ্ঞা। ঢাকা ও এর চারপাশের সব এলাকায় চুক্তিতে চলছে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার। প্রতিমন্ত্রীর হুশিয়ারির মাধ্যমে সেই সুযোগ থাকছে না বলে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২১ মে শবে কদরের ছুটি রয়েছে, ২২মে এবং ২৩ মে সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ঈদের ছুটি রয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি-বেসরকারি অফিস সমূহ প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওই ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সাধারণ ছুটি আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এরপর ১২ ও ১৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের নির্বাহী আদেশের ছুটিকেও এর সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়।
এরপর আরেক দফা ছুটি বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ২৪ ও ২৫ এপ্রিল যথাক্রমে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় এই দুই দিনকেও সংযুক্ত করা হয় সাধারণ ছুটির সঙ্গে। পরে ২৩ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আরেক প্রজ্ঞাপনে ৫ মে পর্যন্ত এই ছুটির মেয়াদ বাড়ায়।