ঘাসফড়িং সদৃশ কীট ‘পঙ্গপাল’ কিনা দেখতে টেকনাফ যাচ্ছে অধিদপ্তর
ঘাসফড়িং সদৃশ পোকা পঙ্গপাল কিনা পরীক্ষা করতে কক্সবাজারের টেকনাফ যাচ্ছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। আজ শুক্রবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের ওই দলের কাজ হবে ‘ঘাসফড়িং সদৃশ লোকাস্ট গোত্রের স্থানীয় ওই পোকা’ শনাক্ত করা, আক্রমণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও ধ্বংস করা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকেও আলাদা বিশেষজ্ঞ দল টেকনাফ যাবে। টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামের কয়েকটি গাছে ‘ঘাসফড়িংয়ের মতো কিছু ছোট পোকার’ আক্রমণ দেখা দিলে কক্সবাজারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করেন।
এদিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শেষ থেকে আফ্রিকার ইথিওপিয়া, কেনিয়া ও সোমালিয়াসহ কয়েকটি দেশে আক্রমণ চালিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে পঙ্গপাল। এ বছরের শুরু থেকে পঙ্গপাল নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান।
গত ৩১ জানুয়ারি দেশটির সরকার এ নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ২২ হাজার একর জমির ফসল ধ্বংস করে ভারতের পাঞ্জাবেও আক্রমণ করে শস্যখেকো পঙ্গপালের ঝাঁক। পঙ্গপাল সামাল দিতে চীন থেকে বিশেষ ধরনের হাঁস আনার উদ্যোগ নেয় তারা।