২৯ এপ্রিল ২০২০, ১৪:৪৫

সম্পর্কে অবনতি! নরেন্দ্র মোদীকে আনফলো করল হোয়াইট হাউজ

নরেন্দ্র মোদি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধুত্ব আন্তর্জাতিক মহলে সর্বজনবিদিত। দুই রাষ্ট্রনেতার সম্পর্কের হৃদ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন এতদিন ছিল না। দুই নেতা ভারত ও আমেরিকায় ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের সম্পর্কেরও উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু হঠাৎই যেন সেই সম্পর্কে ছন্দপতন হলো।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে আনফলো করে দিল মার্কিন প্রসিডেন্টের সরকারি বাসভবন।

জানা যায়, করোনার সঙ্কটের মধ্যে হোয়াইট হাউস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টুইটারে ফলো করা শুরু করে। আর হঠাৎই সেটা আলফলো করে দিল হোয়াইট হাউস। ভারত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ দিয়ে আমেরিকার সাহায্য করেছিল।

হোয়াইট হাউস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, রাষ্ট্রপতি ভবন, আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাস আর ভারতে আমেরিকার দূতাবাসের টুইটার অ্যাকাউন্টগুলো ফলো করছি। এছাড়াও ভারতে থাকা আমেরিকার রাজদূত কেন জাস্টারকেও ফলো করত হোয়াইট হাউস।

এদিকে হোয়াইট হাউজের আনফলো’র ঘটনা কাকতালীয়ভাবে এমন দিনে ঘটল; যেদিন ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশন ভারতে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে বেশ খানিকটা নিচে নামিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশনটি। আমেরিকা সরকারের কাছে তারা সুপারিশ করেছে যাতে, ভারতকে ‘নির্দিষ্টভাবে সমস্যাযুক্ত’ দেশের তালিকায় রাখা হয়। এই তালিকায় পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া, চিনের মতো ১৪টি দেশ রয়েছে; যেখানে প্রতিদিন সংখ্যালঘুদের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। আর তাতেই কূটনৈতিক মহলে জল্পনা তবে কি ভারত ও মার্কিন সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে?

জানা যায়, ভারতীয় এই অ্যাকাউন্টগুলোকে ফলো করার পর হোয়াইট হাউসের ফলোয়িং সংখ্যা ১৯ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর ওই ১৯ টির মধ্যে সমস্ত বিদেটি টুইটার অ্যাকাউন্ট ভারতের সাথে যুক্ত ছিল। এবার হোয়াইট হাউস আবারও ১৩ টি ট্যুইটার অ্যাকাউন্টকে আনফলো করা শুরু করে দিয়েছে। হোয়াইট হাউস এখন যেই অ্যাকাউন্টগুলোকে ফলো করছে, সেগুলো সব আমেরিকা আর ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের।

উল্লেখ্য, আমেরিকা অন্য কোন দেশ অথবা কোন দেশের প্রধানদের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফলো করে না। কিন্তু ভারত এই দুঃখের সময় সাহায্য করার জন্য কিছু ভারতীয় অ্যাকাউন্টকে ফলো করেছিল। কিন্তু এবার আমেরিকা তাদের সিদ্ধান্ত বদলে ভারতের সমস্ত টুইটার অ্যাকাউন্টকে আনফলো করে দিলো।