স্বাস্থ্যসেবা ও চাকরি নিরাপত্তাসহ ৮ সূচকে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ
কোভিড-১৯ ইস্যুতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৮টি দেশের নাগরিক সুরক্ষা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি)। যাতে সর্বনিম্নে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
জানা যায়, আটটি সূচকের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সুলভ স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর পদক্ষেপ। এছাড়াও অসুস্থতাকালীন ছুটির সময় পর্যাপ্ত ভাতা ও সুবিধা, চাকরিচ্যুতি ঠেকানো এবং চাকরিহারা মানুষকে সহায়তা দেয়া; বয়স্ক, বেঁচে ফেরা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা, নাগরিকদের আয়-সহায়তা জোগানো ও পরিবারকে সেবা দেয়ার প্রয়োজনে ছুটি বা অন্য সুবিধার নীতি। এছাড়া কর এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতের প্রদেয় মেটানোর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়াও বিষয়টিও দেখা হয়েছে।
ইউএনডিপি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফিলিপাইন; যে তালিকায় রয়েছে ইরান ও থাইল্যান্ড। তথ্যমতে, এই তিনটি দেশ মোট ৭ ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও চীন নিয়েছে ছয় ধরনের পদক্ষেপ। এছাড়াও জাপান, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভারত নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য মোট ৫ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও শ্রীলঙ্কা চারটি এবং নেপাল ও পাকিস্তান তিনটি উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা ছক থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার শুধু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়েছে। অবশ্য সেখানে এটাও বলা হয়েছে যে ছকে দেশগুলোর কোনো পদক্ষেপ বাদও পড়ে থাকতে পারে। তবে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়ছেন, বাংলাদেশ সরকার নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক–অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য সব রকম পদক্ষেপই নিয়েছে। তিনি বলেন, গরীব মানুষকে খাবার ও কোভিড-১৯–এর লক্ষণ দেখা দিলে সঠিক চিকিৎসাসহ কোনো উদ্যোগে ঘাটতি নেই।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আটটি ক্ষেত্রে দেশগুলোর নেয়া সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার তুলনা করে এ প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। এ অঞ্চলে কোভিড-১৯ মহামারির সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবের ওপর এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এশিয়া–প্যাসিফিক ইকোনমিস্ট নেটওয়ার্ক নামের অর্থনীতিবিদদের একটি সংগঠন।
এর আগে ৬ এপ্রিল যুক্তরাজ্যভিত্তিক অর্থনীতিবিষয়ক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এফএম গ্লোবাল ‘গ্লোবালরেজিলিয়েন্স ইনডেক্স–২০১৯’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই সূচক অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার সামর্থ্যের দিক থেকে ১৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। ওই সূচক অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও শ্রীলঙ্কার অবস্থান ছিল যথাক্রমে ৫৮ ও ৮১তম।