জমজমাট ইফতারের বাজার এখন শূণ্য
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মধ্যেই এসেছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পুণ্য লাভের অন্যতম মাধ্যম পবিত্র মাহে রমজান। আগের বছরগুলোর ন্যায় ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে কাটলেও এবারের রমজান মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য নিঃসন্দেহে ভিন্ন অনুভূতির হবে।
আজ শনিবার প্রথম রমজানে দেশের কোথাও ছিল না ইফতার কেনা-বেচার ধুম। রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতারির বাজারেও নেই বাহারি ইফতার কেনা-বেচার ব্যস্ততা। এ এক অন্য রকম রমজান মাস উদযাপন করতে চলছে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
পুরান ঢাকার চকবাজারে ইফতারির রয়েছে নাম-খ্যাতি। বলা হয় খানদানি লোকের ইফতারির বাজার চকবাজার। মোগল আমলের চিহ্ন পুরান ঢাকা থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিলেও রসনাবিলাসের সুবাস এখনো রয়েছে। শত শত বছর ধরে রমজানে ইফতার বিকিকিনি হয়ে এলেও এবারের দৃশ্য ভিন্ন। চকবাজারে নেই বাহারি ইফতার, নেই হাঁকডাক।
চকবাজারের ব্যবসায়ী আশিক সরদার বলেন, চকবাজারের এখানে বহু বছর ধরে ব্যবসা করে আসছি। আমার বাবাও এখানে ব্যবসা করতেন। আমার জীবদ্দশায় তো বটে, আমার বাবাও এরকম পরিস্থিতি চকবাজারে দেখেননি।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরান ঢাকার গলিতে গলিতে নেই বাহারি ইফতারের মেলা। অন্য বারের মতো আস্ত খাসির রোস্ট, আস্ত মুরগির ফ্রাই, জালি কাবাব, সুতি কাবাব, টিকা কাবাব, শাহী কাবাব, কবুতরের রোস্ট, কোয়েলের রোস্ট, ডিম চপ, ডিম কোপ্তা, সাসলিক, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, দইবড়া, হালিম, লাচ্ছি, পনির। এ যেন এক অচেনা চকবাজার।