২৩ এপ্রিল ২০২০, ২০:৪৪

সরকারের যথাযথ উদ্যোগে একজন মানুষও না খেয়ে মরেনি: তথ্যমন্ত্রী

  © ফাইল ফটো

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করায় দেশের একজন মানুষও না খেয়ে মরেনি। এটাকে সরকারের সফলতা হিসেবে দাবি করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় ও করণীয় নির্ধারণে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ খন্দকার বলেন, করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকারের কার্যকর উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। আমি মনে করি, এটাই সরকারের সফলতা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের কাছে ১৭ লাখ টন খাদ্য মজুদ ছিল। করোনা সংকট মোকাবেলায় এরই মধ্যে এক লাখ টন খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। আরো ছয় লাখ টন খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার গত কয়েক বছর ধরে ৫০ লাখ পরবারকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা হারে বছরের সাত মাস বিতরণ করছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আরো ৫০ লাখ পরিবারকে এর আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মাধ্য দেশের পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। এর বাইরে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা এবং ১৪৪টি কর্মসূচির মাধ্যমে আরও এক কোটি মানুষ সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে আছেন। অর্থাৎ প্রায় ছয় কোটি মানুষ- দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে আছে। এটি বিরল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্ব করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জ্যেষ্ঠ রাজনীবিদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা দীর্ঘ বৈঠক করে চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেন। তবে এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।