যে সকল হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা মিলছে
করোনা সংকট যেন কাটছেই না। যদিও আশার খবর হলো- করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাড়ে চার লাখ মানুষ। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা ভিন্ন। করোনাভাইরাস ধীরে ধীরে বাংলাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
ঢাকায় মোট ১১টি হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো- উত্তরায় অবস্থিত কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, কমলাপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, মতিঝিলের মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর রোডে অবস্থিত মিরপুর মেটারনিটি হাসপাতাল, লালবাগে কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, সাভারের আমিনবাজার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, কেরানীগঞ্জে জিঞ্জিরা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, জুরাইনে অবস্থিত সাজিদা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
এই কয়েকটি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসাসহ সন্দেহভাজনদের নমুনা পরীক্ষার ব্যাবস্থাও রয়েছে। পাশাপাশি আইডিসিআরসহ প্রায় ১৭টি ল্যাবে রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্ট পলিমারেজ চেইন রিয়েকশন (আরটি-পিসিআর) পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্য বুলেটিনের মঙ্গলবার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে এই পদ্ধতিতে করোনা টেস্টের সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে আরো ১১টি প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতালে। ঢাকার বাইরে এই ছয়টি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ, দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ।
এছাড়াও ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই আরটি-পিসিআর পরীক্ষা পদ্ধতি শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা চালু শুরু হতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগরীতে মোট ৯টি প্রতিষ্ঠানে সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৩১টি ও ঢাকার বাইরে আটটি প্রতিষ্ঠানে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে মোট তিন হাজার ৫৯৭টি।