১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধের আহ্বান রুবানা হকের
করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই কাল থেকে খুলছে বন্ধ থাকা পোশাক কারখানাগুলো। কাজে যোগ দিতে এরইমধ্যে শত ভোগান্তি শেষেও ঢাকায় ফিরেছে অনেকে। তবে পোশাক কারখানা খোলার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন শ্রমিক নেতারা। তারা বলছেন, যেখানে বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রে ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে সেখানে এমন পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত অন্যায়।
হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতে একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট রুবানা হক। বার্তায় করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে। আমাদের কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদফতর আমাদের যে সার্কুলার দিয়েছিলেন তাতে স্পষ্ট করে লেখা আছে যে সমস্ত রফতানিমুখী শিল্পে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ আছে এবং যারা পিপিই বানাচ্ছে, যাদের উৎপাদন কার্যক্রম চলমান আছে সেই সমস্ত শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে সুনিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে। কাজেই আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্বটি হলো, কীভাবে আমরা আমাদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তাটি দেব। এটি প্রথম। দ্বিতীয় জায়গাটি হলো মার্চ মাসের বেতন নিয়ে কোনো রকম অনীহা অনাগ্রহ কোনোকিছুর অবকাশ নেই। মার্চ মাসের বেতন আমাদের শ্রমিকরা পাবেনই। এটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এটি আমাদের যত কষ্ট হোক, যাই হোক আমরা মার্চ মাসের বেতন দেব।’
রুবানা হক বলেন, ‘শ্রমিক যদি কোনো কারণে এবং সঙ্গত কারণে উপস্থিত না থাকেন কারখানায় মানবিক বিবেচনায় তার চাকরিটি হারাবেন না। এটি আমাদের প্রত্যেক সদস্যদের কাছে অনুরোধ করব। আমি আশা করি, এই শিল্পখাত যেটি অর্থনীতিতে এতবড় অবদান রাখে সেই মালিকেরা তাদের শ্রমিকের অনুপস্থিতির কারণে চাকরি না হারান। আশা করি, সদস্যরা এটি শুনবেন এবং আমার অনুরোধটুকু রাখবেন।’