ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দেখে খাবার ফেলে পালালেন কনে যাত্রীরা
যশোরের মণিরামপুরে বিয়েতে ৫০০ লোক সমাগম করার অভিযোগ উঠেছে কনে পক্ষের বিরুদ্ধে। রবিবার (২২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে কনের বাড়িতে চলছিল খাওয়ার আয়োজন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দেখে পালিয়ে যায় বর-কনে। প্লেটের খাবার রেখে পালিয়ে যায় অতিথিরাও।
উপজেলায় ঘটনাটি ঘটেছে চন্ডিপুর গ্রামের মোশারেফ হোসেনের মেয়ে (বেলির) বিয়ের আয়োজনে। একই উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের বেসরকারি চাকরিজীবী জনৈক আশিকুর রহমানের সাথে কয়েকদিন আগে বিয়ে হয় বেলির। রোববার ছিলো কনে বিদায় দেওয়ার আয়োজন।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিয়ের আয়োজন করা নিষেধ। যদিও করতে হয় তাহলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগে। কিন্তু কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই দাওয়াত দিয়ে ৫০০ লোক সমাগম করেন কনের পিতা। বরপক্ষ ৮-১০টি মাইক্রোবাস নিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হন।
খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান পুলিশ নিয়ে বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে হাজির হন। ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে বর-কনে, অতিথি এবং কনের স্বজনরা পালিয়ে যান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বর পক্ষের অতিথি সাহাবুর রহমান বলেন, ‘আমরা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওয়ানা হই। পথিমধ্যে খবর পাই অনুষ্ঠানে পুলিশ উপস্থিত হয়েছে। তখন বাড়ি ফিরে যাই।’
তিনি দাবি করেন, আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। মেয়ে তুলে দেওয়ার জন্য ছোট করে আয়োজন চলছিল।
এ ব্যাপারে এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান বলেন, ‘কোয়ারেন্টাইন ভেঙে চন্ডিপুর গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিলো। অনুষ্ঠানে ৫০০ লোক সমাগমের খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হই। আমাদের দেখে বর-কনেসহ সবাই পালিয়ে যায়। কাউকে পাওয়া যায়নি।’