২০ মার্চ ২০২০, ১৫:২৩

মানসিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নির্বাচন কমিশন

  © সংগৃহীত

‘সারা পৃথিবীব্যাপী স্টেট অফ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশে দেশে মৃত্যুর মিছিল চলছে। করোনা প্রতিরোধে সৌদি আরবের মক্কায় পর্যন্ত জুম্মার নামাজ স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী যখন এমন অবস্থা তখন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়া কেন সেটি আমার বোধগম্য না। সরকার যেখানে বলছে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে। সেখানে নির্বাচন কমিশন কিভাবে ঘোষণা করে আগামীকাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের এমন কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন মানসিক করেনায় আক্রান্ত’।

আজ শুক্রবার জুম্মার পর নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এস এসব কথা বলেন ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

সুমন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মাদারীপুরের শিবচর ইতিমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে। রাজশাহীর সাথে ঢাকার দূরপাল্লার বাস যোগাযোগ সেটিও বন্ধ করা হয়েছে। এত পদক্ষেপের পর আগামীকাল কিভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আগেই নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে মেরে ফেলছে। কাল যদি কোনো কারণে নির্বাচন হওয়ার পর এটি মহামারী আকার ধারণ করে তাহলে এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে?

তিনি বলেন, আমি নিজেও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। যারা এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে থাকেন, তাদের কাছে অনুরোধ করব আপনারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া যে আওয়ামী লীগ সেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করুন। বঙ্গবন্ধু চাইলেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। কিন্তু তিনি শুধুমাত্র বাংলাদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে সুযোগ পেয়েও প্রধানমন্ত্রী হননি।

সুমন আরও বলেন, আওয়ামীলীগের যারা আছেন তাদের কাছে অনুরোধ করব আপনারা নির্বাচনে ভোট না চেয়ে, কিভাবে করোনা মোকাবেলা করতে হবে সেই বিষয়ে সচেতন করুন। নির্বাচনে ভোট চাওয়ার কারণে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও লজ্জাবোধ করবেন। একাত্তরে যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সময় এসেছে করোনার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার। আগামীকালের নির্বাচন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।