জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠান স্থগিত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ PM , আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ PM
আগামীকাল মঙ্গলবার জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় অনুষ্ঠান থাকলেও শিশু সমাবেশের আয়োজন ‘জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনায়’ তা স্থগিত করেছে আয়োজক কমিটি।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মুজিববর্ষের উদ্বোধন ও জাতীয় শিশুদিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করতে গিয়ে অনুষ্ঠান উদযাপন বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির প্রধান কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এছাড়া একইসঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও কোনো কর্মসূচি পালন না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় প্রোগ্রাম হবে, তবে সেখানে কোনো শিশু সমাবেশ হবে না। জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ১৭ মার্চে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো অনুষ্ঠানও হবে না। বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ১৭ মার্চ থেকে এক বছর বাংলাদেশ উদযাপন করবে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে। মঙ্গলবার সেই বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন হবে।
এ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ অতিথিদের নিয়ে বড় আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তা স্থগিত করা হয়। জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় জনসমাগম এড়িয়ে ১৭ মার্চ সীমিত পরিসরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সোমবার দেশে আরও তিনজনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর আসার পরপরই মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে মুবিজবর্ষের মূল আয়োজন বাতিল হওয়ার পর এখন মঙ্গলবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে কোনো ধরনের জনসমাগমের ব্যবস্থা না রেখে। বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণের সঙ্গে মিল রেখে রাত ৮টায় এ আনুষ্ঠানের শুরু হবে। সেই অনুষ্ঠান দেখা যাবে টেলিভিশনে।
কামাল নাসের চৌধুরী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজির প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ‘মুক্তির মহানায়ক’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে। জাতীয় সংগীতের পর রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। এরপর থাকবে শত শিশুর কণ্ঠে গান।
প্রধানমন্ত্রী এরপর ভাষণ দেবেন জাতির উদ্দেশ্যে। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ব্যক্ত করবেন তার অনুভূতি। শেখ রেহানার লেখা কবিতা আবৃত্তি করবেন বড় বোন শেখ হাসিনা। তাতে থাকবে বাবাহারা কন্যার আকুতি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে থিম সং করা হয়েছে, সেটি গেয়ে শোনাবেন শিল্পীরা। শেখ রেহানাও সেখানে কণ্ঠ দিয়েছেন বলে জানান কামাল নাসের চৌধুরী।