বিক্ষোভের মুখে আশকোনা হজ ক্যাম্পে সেনা মোতায়েন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২০, ০৮:৩৭ PM , আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২০, ০৮:৩৭ PM
প্রানঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে ইতালির রোম থেকে দেশে ফেরা ১৪২ জন বাংলাদেশিকে বাধ্যতামূলকভাবে রাজধানীর আশকোনার হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এসময় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ইতালি ফেরত ওইসব বাসিন্দা। বিক্ষোভে বাইরে থেকে তাদের স্বজনরাও যোগ দিয়েছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় এ পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ইতালিফেরতদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তায় সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
এর আগে শনিবার দুপুর ২টার দিকে ইতালিফেরত লোকজন ও তাদের স্বজনরা ক্যাম্পের ভেতর ও বাইরে এই বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে ইতালিফেরতরা হজ ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ইতালিফেরত লোকজন ও তাদের স্বজনদের কথা-কাটাকাটি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুব্ধরা তখন অভিযোগ করে বলেন, তাদেরকে হজ ক্যাম্পে আনার পর কর্তৃপক্ষ কী করতে চায়, তা বলছে না। তাদেরকে শুধু পানি ছাড়া কোনো খাবারও দেয়া হচ্ছে না। তারা বলছেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকলে তারা প্রয়োজনে বাড়িতেই থাকবেন। এ সময় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করেন বেশ কয়েকজন প্রবাসী। হজ ক্যাম্পের প্রধান গেটে এসে বিক্ষোভ ও গেট ধাক্কাধাক্কি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন কয়েকজন প্রবাসী। এ সময় তারা প্রশাসনের অবহেলার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, এখানে তারা অমানবিক অবস্থার মধ্যে আছেন। শিশুরা আছে। কিন্তু কোনো খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্ষোভ শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় এবং প্রবাসীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয় পুলিশ।
হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ইতালিফেরত জুনাঈদ আহমেদ বলেন, আমরা ইতালির রোমে বিমানবন্দরে একবার টেস্ট করে এসেছি। দুবাইতে আবারও টেস্ট করানো হয়েছে। এরপর শাহজালাল বিমানবন্দরে টেস্ট করে দেখা হয়েছে আমাদের মধ্যে কোনো উপসর্গ ছিল না। এরপরও কেন আমাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হল?
তিনি বলেন, বিকালে সাড়ে ৫টা বাজে। আমাদেরকে লাইনে দাঁড় করানো হয়েছে পরীক্ষা করানোর জন্য। কোনো নিয়ম শৃঙ্খলা নেই। একজনের গা ঘেষে আরেকজনকে দাঁড় করানো হয়েছে। এমনভাবে দাঁড় করানো হয়েছে, কেউ যদি আক্রান্ত থাকে, তবে তার শরীর থেকে এ ভাইরাস অন্য জনের শরীরে ছড়াবে নিশ্চিত।