১২ মার্চ ২০২০, ১০:৫২

বাস চালাচ্ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত চালক

  © ফাইল ফটো

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষাসফরে দুর্ঘটনায় পড়া বাসটি অবসরপ্রাপ্ত একজন চালকের হাতে ছেড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন। এই বাস চালকই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর থেমে থাকা ট্রাককে ধাক্কা দেন। দুর্ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা সৈয়দা ফাহিমা বেগমের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, এতে আহত হয় শিক্ষার্থীরা।

গতকাল বুধবার ভাঙ্গা হাইওয়ের পুলিশ উপপরিদর্শক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ বাসচালক বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠান। তবে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন বাস চালকের জামিন আবেদন করবে বলে জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মশিউর রহমান গোপালগঞ্জ থানায় বাসচালক বিল্লাল হোসেনক ও অজ্ঞাতনামা ট্রাকচালককে আসামি করে মামলা করেন।

তিনি বলেন, শুরু থেকেই বেপরোয়াভাবে বাস চালাচ্ছিলেন বাসচালক। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বাসচালক যেমন হওয়া দরকার ছিল, সে তার উল্টো। থেমে থাকা ট্রাককে তিনি সজোরে থাক্কা দেন। মামলার ইজাহারে তিনি বাসচালক বিল্লাল হোসেন ছাড়াও আসামি করেছেন ট্রাকচালককে। ঐ ট্রাকচালক বেআইনীভাবে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর ট্রাক দাঁড় করিয়েছিলেন।

উপপরিদর্শক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ বাসচালক বলেন, বাসচালক ও ট্রাকচালকের বিরুদ্ধে গুরুতর আঘাতের আশঙ্কা থাকার পরও অসতর্ক থাকা, নিরাপত্তার বিঘ্নের কাজ করা, বেপরোয়া চালানো, জিনিসপত্র নষ্ট করার অভিযোগ করেছেন বাদী।

দীর্ঘ সাত ঘন্টা অস্ত্রোপাচারের পর গতকাল সকালে চোখ মেলে তাকিয়েছেন সৈয়দা ফাহিমা বেগম। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক লুৎফুল কাদের জানান, ফাহিমা বেগমের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাতটিকে তাঁরা যুক্ত করেছেন। হাত আগের অবস্থায় ফিরতে পারে বলে আশা করছেন তাঁরা।

শিক্ষাসফরে যাওয়া শিক্ষার্থীরা গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা ফিরেছে গতকাল ভোরে। মঙ্গলবার ভোরে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ১০৬ জন শিক্ষার্থীসহ ১১৭ জন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের তত্তাবধানে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান ও সমাধিসৌধের পথে রওনা করেছিল।