০৮ মার্চ ২০২০, ১৯:৩১

২০৪১ সালে আজকের তরুণরা বাংলাদেশের নেতৃত্বে থাকবে

  © টিডিসি ফটো

আজকের তরুণেরাই ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর এভাবেই নারী পুরুষের সমতা সমাজে আরও জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

রবিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ইউসেপ বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এনজিও ব্যুরো’র মহাপরিচালক কে এম আবদুস সালাম।

আবদুস সালাম আরও বলেন, আমাদের দেশে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। সামনে তাদের কাজ ও নেতৃত্বের মাধ্যমে আরও অগ্রসর হবে। তবে এজন্য নারীদের নিজেদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর এক্ষেত্রেই তিনি ইউসেপ বাংলাদেশের ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অষ্টেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার পেইনি মরটোন। তিনি বিশ্বব্যাপী নারীদের অবস্থানের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ও ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন। এক্ষেত্রে ইউসেপ বাংলাদেশ যে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে সে সম্পর্কেও উপস্থিত সুধিজনদের অবহিত করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ‍ছিলেন ইউসেপ বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান লায়ন জে.এল ভৌমিক, ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক তাহসিনাহ্ আহমেদসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।

ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বরাবরই প্রতিষ্ঠানটির সকল অনুষ্ঠান আয়োজনের মুল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব সৃষ্টিশীল ভাবনা এবং পরবর্তীতে সেনুযায়ী নানা পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মুগ্ধ করেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। দিবসটির ভাবনার সাথে মিল রেখে তারা মঞ্চে নাটক, নাচ ও গান পরিবেশন করেন। পাশাপাশি ইউসেপ বাংলাদেশের দুজন সাবেক নারী শিক্ষার্থীরা তাদের সফলতার গল্প উপস্থিত অতিথিদের মাঝে তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য সমাজের স্বল্প-সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউসেপ বাংলাদেশ ১৯৭২ সাল থেকে বিশেষ করে শিশু এবং যুবাদের সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ইউসেপ বাংলাদেশ মেয়েদের অংশগ্রহণ আরো বেশি মাত্রায় নিশ্চিত করতে নানামুখি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ইউসেপ বাংলাদেশ তার সকল কার্যক্রমে মেয়ে ও ছেলে সবার জন্য সমানভাবে কাজ করবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে ইউসেপ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষায় ৪০%, সাধারণ শিক্ষায় ৫২% নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি চাকুরী প্রত্যাশী গ্রাজুয়েটদের মধ্যে ৩৯% নারী বিভিন্ন কারখানায় চাকরিতে যোগদান করেছে। এছাড়াও নারীদের নিয়ে কাজ করার জন্য জেন্ডার নীতি প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন এবং নারী শিক্ষার্থীদের জন্য জেন্ডার বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ যে, এনএসডিপি-২০১১ এর হিসাব অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রমে মেয়েদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হলেও কারিগরি শিক্ষায় তাদের অংশগ্রহণ ছেলেদের তুলনায় অনেক কম, শতকরা হিসাবে তা হলো মাত্র ২৪%। এক্ষেত্রে ইউসেপ বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণের হার ৪০%।