করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ইউনিসেফের ৮ পরামর্শ
বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে তিনজন আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুইজন পুরুষ। তাদের মধ্যে একই পরিবারের দুইজন। এদের মধ্যে দুইজন সম্প্রতি ইতালি থেকে দেশে ফিরেছে। এছাড়া আরও ৩ জনকে হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
রোববার (৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। আক্রানন্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে লাখের ঘর। এটি যেন এখন মানুষের মাঝে আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতাও জারি করেছে।
ভাইরাসটি বড় হলেও সেটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সংগঠনটি আটটি পরামর্শ দিয়েছে। নিচে পরামর্শগুলো দেয়া হল।
১. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। মাস্ক ভাইরাসটিকে প্রতিরোধ করতে পারে। তাই মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. করোনাভাইরাস মাটিতে অবস্থান করে, এটি বাতাসে ছড়ায় না। তবে সতর্ক থাকতে হবে।
৩. কোনো ধাতব তলে বা বস্তুতে করোনা পড়লে প্রায় ১২ ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারে। তাই সাবান দিয়ে হাত ধুলেই যথেষ্ট হবে।
৪. করোনাভাইরাস কাপড়ে ৯ ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারে। তাই কাপড় ধুয়ে রোদে দুই ঘণ্টা রাখলে ভাইরাসটি মারা যাবে।
৫. করোনাভাইরাস হাত বা ত্বকে ১০ মিনিটের মতো জীবিত থাকতে পারে। তাই অ্যালকোহল মিশ্রিত জীবাণুনাশক হাতে মেখে নিলে ভাইরাসটি মারা যাবে।
৬. গরম আবহাওয়ায় করোনাভাইরাস বাঁচে না। ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রাই ভাইরাসটিকে মারতে পারে। কাজেই ভালো না লাগলেও বেশি বেশি গরম পানি পান করুন। আইসক্রিম থেকে দূরে থাকুন।
৭. লবণ মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গারগল করলে গলা পরিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টনসিলের জীবাণুসহ করোনাভাইরাস দূর হবে। এছাড়া ফুসফুসে সংক্রমিত হবে না।
৮. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নাকে, মুখে আঙ্গুল বা হাত দেয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ, মানব শরীরে জীবাণু ঢোকার সদর দরজা হলো নাক-মুখ-চোখ।