ধেয়ে আসছে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়
শীত মৌসুমের বিদায়ের পর ঘনিয়ে আসছে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়। এতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হচ্ছে বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি আরও বাড়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি কোনও সময় মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ঢাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রথম তিন মাসের (জানুয়ারি-মার্চ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, মার্চ মাসেই তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। তার সঙ্গে হবে প্রবল বজ্রঝড়।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, প্রকৃতিতে চলছে কালবৈশাখীর প্রাক-প্রস্তুতি পর্ব। আবহাওয়ার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা। ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, সমগ্র পূর্ব এবং উত্তরপূর্ব ভারতে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। বাংলা নববর্ষের শুরুতে বৈশাখ মাসে ঝড় তুলনামূলকভাবে বেশি হয় বলে এটি কালবৈশাখী নামে পরিচিত।
ফেব্রুয়ারির বাকি দিনগুলোয় দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এ সময় দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বজ্রঝড় হতে পারে। এছাড়া মার্চে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী কিংবা বজ্রঝড় এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কালবৈশাখী কিংবা বজ্রঝড় হতে পারে।
মার্চ মাসের দিনের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে প্রায় ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে।
পতেঙ্গা প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, বুধবার আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরে নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা বিরাজ করেছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কালবৈশাখী শুধু বৈশাখ মাসেই দেখা যাবে-এমনটি নয়। কালবৈশাখী ও সাধারণ ঝড়ের মধ্যে পার্থক্য বিচারে কিছু মাপকাঠি রয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি এবং স্থায়ীত্ব ১ মিনিট হলে সেটা কালবৈশাখী ঝড়।