মণিপুরী বর্ণমালায় প্রাক-প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক দাবি
- শিহাব উদ্দিন
- প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৩:৩৬ PM , আপডেট: ০৪ মে ২০২১, ১১:৪৫ AM
নিজস্ব বর্ণমালায় প্রাক-প্রাথমিকের স্তরের পাঠ্যপুস্তক রচনার দাবি জানিয়েছে আদিবাসী মণিপুরী জনগোষ্ঠী। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনার আলোকে আয়োজিত ‘মণিপুরী ভাষা ও শিক্ষা’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান ঢাকাবাসী মণিপুরী সংগঠন।
ঢাকাবাসী মণিপুরীর সভাপতি কোংখাম নীলমণি সিংহের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌস, গণ স্বাক্ষরতা বিভাগের উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ, জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা।
সভাপতির বক্তব্যে কোংখাম নীলমণি সিংহ বলেন, মাতৃভাষা ছেড়ে অন্যভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করা কষ্টের। আর অন্যভাষায় লেখাপড়া শিখতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন প্রাক-প্রাথমিকের ছোট্ট শিশুরা। কোমলমতি শিশুদের কথা বিবেচনা করে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রমে মণিপুরীদের নিজস্ব বর্ণমালার বই দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, মণিপুরীদের নিজস্ব ভাষাকে বিকৃত করে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের কাছে অনুরোধ করবো প্রাথমিকের চতুর্থ শ্রেণীর বইয়ে মণিপুরীদের ভাষার যে ভুল তা যেন দ্রুত সংশোধন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি উপজাতিদের নিজস্ব বর্ণমালায় শিক্ষা নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর। প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে দেশর পাঁচটি উপজাতীয় ভাষায় বেই দেয়া হচ্ছে। ২০২২ সালের মধ্যে আরও ৬টি উপজাতীয় বর্ণমালায় প্রাক-প্রাথমিকের বই প্রস্তুত করা হবে। এই ৬টি ভাষার মধ্যে মণিপুরীকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মণিপুরী বর্ণমালায় প্রাক-প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের কাজ মুজিববর্ষ থেকেই শুরু হবে। চতুর্থ শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে ভুলের বিষয়ে অবগত ছিলেন না জানিয়ে তিনি এই ভুল দ্রুত সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাবাসী মণিপুরীর উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস সি সিনহা এবং সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও ঢাকাবসী মণিপুরীর উপদেষ্টা শশী কুমার সিংহ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মণিপুরী ভাষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি এ কে শেরাম।