৩১ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:১৯

চীন ফেরত ৩৬১ জনের সঙ্গে ১৪ দিন দেখা করা নিষেধ

  © সংগৃহীত

চীনের উহান থেকে ৩৬১ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনছে সরকার। তবে তাদের সঙ্গে পরিবারসহ কেউ দেখা করতে পারবে না। দেশে ফিরিয়ে তাদেরকে আশকোনা হজ ক্যাম্পে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। 

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক বৈঠক শেষে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।

মন্ত্রী বলেন, চীনে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাস ১৭টি দেশে ছড়িয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশে কোনো প্রভাব নেই। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সন্দেহভাজন একজন ভর্তি রয়েছে। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

তিনি বলেন, উহান থেকে প্রায় ৩৬১ জন দেশে ফেরার আবেদন জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা ফেরত আসছে তারা কেউই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নয়। তারপরও তারা পর্যবেক্ষণে থাকবেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, তাদের প্রথমে আশকোনার হজ ক্যাম্পে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবে। এসময় পরিবারের সদস্যসহ কারো সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। 

আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট উহানে থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনতে যাবে। বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, আনুমানিক রাত দুইটার মধ্যে তাদের নিয়ে দেশে এ ফ্লাইটটি অবতরণ করবে। বিমানেও ৫ জন চিকিৎসক সম্পূর্ণরূপে প্রটেক্টেড থাকবে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের সব সুযোগ-সুবিধাও থাকবে ওই বিমানে।

তিনি জানান, ৩৬১ জনকেও প্রোটেক্টেড অবস্থায় নিয়ে আসা হবে। হজ ক্যাম্পে তাদের আলাদাভাবে নিয়ে রাখা হবে। ১৪ দিনের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

১৪ দিনের মধ্যে আত্মীয়-স্বজনদের দেখা করতে না চাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আত্মীয়-স্বজনরা ব্যাকুল হবে স্বাভাবিক। আমি অনুরোধ করবো, কেউ তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইবেন না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, চীন ফেরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে স্বজনরা যেন দেখা করার জন্য উঠে পড়ে না লাগে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। আগে চীন সরকার আমাদের বলেছিল ১৪ দিনের আগে তাদের ফেরত দেওয়া যাবে না। অবশেষে তারা জানিয়েছে, ফেরত দেওয়া সম্ভব।

তিনি জানান, ৩৬১ জনের মধ্যে ১৯টি পরিবার রয়েছে। খুব অল্প সময়ে সব কিছু প্রস্তুত করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের আনার সিদ্ধান্ত হয় এবং আমরা যে প্রক্রিয়ায় সফল হচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উহানে আমাদের কোনো সরাসরি ফ্লাইট নেই। অন্ধপ্রদেশ গিয়ে সেখান থেকে ওখানে যাওয়া হয়। এই ফ্লাইটটি এখন সরাসরি ওখানে গেলেও যেহেতু উহানে কোন সরাসরি ফ্লাইট নেই। এছাড়া চীনের সঙ্গে ফ্লাইটের যোগাযোগ বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।তবে ভ্রমণে যেতে অনুৎসাহিত করছি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আশাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।