নতুন বই পেয়ে উল্লসিত কোমলমতি শিশুরা

লাইন ধরে অতিথিদের নিকট থেকে নতুন বই নেন কোমলমতি শিশুরা
লাইন ধরে অতিথিদের নিকট থেকে নতুন বই নেন কোমলমতি শিশুরা  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বই উৎসব। সেখানে উপস্থিত কোমলমতি শিশুদের হাতে বই তুলে দেন অতিথিরা। এসময় নতুন বই পেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, বিশেষ অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিরিন আক্তার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, ফেরদৌস ইসলাম ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

মোঃ জাকির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা আজ তোমাদের হাসিতে প্রস্ফুটিত। ব্রিটিশ এবং পাকিস্তানিরা কখনো আমাদের শিক্ষার দিকে তাকায়নি। কিন্তু শেখ হাসিনা আমাদেরকে শিক্ষার জন্য যা যা করা দরকার তাই করছেন। কারণ আজকের তোমরাই হবে আগামীর দেশ গড়ার কারিগর।

তিনি শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘তোমরা মা বাবাদের সাহায্য করবে, বড়দের সম্মান করবে, ছোটদের স্নেহ করবে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েদের নিজের সন্তান মনে করবেন। আপনাদের মায়ের মত পরিশ্রম করতে হবে। তাহলেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’

এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ব্রিটিশ আর পাকিস্তানিরা কখনো দেশকে উন্নত করতে চায়নি। যা এখনকার সরকার করছে। এখন দেশের যে জায়গায় পড়ুক, বছরের প্রথম দিনে ছেলেমেয়েরা বই হাতে পায়।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বই তোমাদের মননশীলতা তৈরি করবে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা আন্তরিক হলে দেশ বদলে যাবে। আমরা সবাই ভাল হয়ে গেলে দেশ ভাল হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব যাদের হাতে আছে তারাই পারবে। তোমরা ভাল করে পড়ে দেশকে অনন্য শিখরে পৌঁছে দেবে।’

সভাপতির বক্তব্যে আকরাম আল হোসেন বলেন, ১৯৭৩ এর মেনিফেস্টে বঙ্গবন্ধু জাতীয় আয়ের ছয় শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যায় করার কথা বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করবে আমাদের সামনের ছোট সোনামনিরা। তারাই দেশ গড়বে। শিক্ষার্থীরাই শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু করেছেন। এই শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ২০৪১ সালের বাংলাদেশ গড়া হবে।

শিরিন আক্তার বলেন, ‘তোমাদের দেখে আমি সেই ছোটবেলায় ফিরে যাচ্ছি। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা পৃথিবীর কাছে তুলে ধরছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সবাইকে সারাদিন ভাল হয়ে থাকতে হবে।’

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের বাচ্চাদের যেন কোন কষ্ট না নয়, বাচ্চাদের খুশির জন্য, পড়ার পরিবেশ এবং পড়ার প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টির জন্য এই মন্ত্রণালয় অন্য মন্ত্রণালয়ের চেয়ে ভুমিকা বেশি রাখছে। শিশুদের সু মননে গড়ে তুলবেন আপনারা শিক্ষকরা।’

তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মাঝে এক আনন্দের জোয়ার বইছে। আগেকার সময়ে ছোটরা বড়দের পুরাতন বই পড়ত। এ যেন পরম্পরা। কিন্তু এখন সবার হাতে নতুন বই।’ অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে গান, নৃত্য ও কৌতুক পরিবেশন করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা।


সর্বশেষ সংবাদ