২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:২৬

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪.৫

  © ফাইল ফটো

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে এটা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রা গত শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

গত শীত মৌসুমে (২ জানুয়ারি ২০১৯) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।

এ ছাড়া গত বছর এই দিনে (২৯ ডিসেম্বর ২০১৮) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করলেও আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পঞ্চগড়ে দেখা গেছে সূর্যের মুখ। লোকজনকে দেখা গেছে রোদে বের হয়ে কিছুটা উষ্ণতা নিতে। তবে উত্তরের হিমেল বাতাসের দাপটে সূর্যের এই মিষ্টি রোদ খুব বেশি আরামদায়ক হতে পারছে না।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদেরা জানান, তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, আর ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।

তেঁতুলিয়ায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় অনেকেই শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে। এ ছাড়া শীতের তীব্রতার কারণে ঠিকমতো কাজও করতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহ দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে মধ্যাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিস্তৃত হয়েছে। আজ রাতের বেলায় তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে কাল সোমবার রাত থেকে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।