২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৪১

শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২

  © ফাইল ফটো

রাজধানীসহ সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরে জেকে বসেছে শীত। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনদুর্ভোগও। আজকে দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও দুইদিন পর সূর্যের দেখা মেলায় কুয়াশা কেটে জনজীবনে কিছুটা স্বস্থি ফিরেছে। তবে হিমেল হাওয়ার কারণে ঠান্ডা ছিল। বিকালের পর আবার জেকে বসেছে কনকনে শীত। তীব্র শীতের কারণে বোরো বীজতলা ক্লোড ইনজুরির আশংকা করছেন কৃষকরা।

এতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও শ্রমজীবীদের কষ্ট বেশি। তাদের দিনমজুরীর কাজ করে অন্ন সংস্থান করতে হয়। তাদের প্রতিদিন কাজে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। হতদরিদ্রদের শীতে তাদের খাওয়ার সমস্যাই বেশি। ঘরে খাবার থাকলেও ঠান্ডা খাবারই খেতে হয়। বার বার খাবার গরম করে খাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ঠান্ডা পানি পান করে শিশুদের সঙ্গে বৃদ্ধরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সোহেল রানা বলেন, বহির্বিভাগে রোগীর আগমন বেশি হলেও ভর্তির সংখ্যা স্বাভাবিক রয়েছে। তারা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। তবে হাসপাতাল ছাড়াও ব্যক্তিগত চেম্বার ও ক্লিনিকে ঠান্ডাজনিত নানা রোগ নিয়ে প্রচুর রোগী আসছে দেখা গেছে।

জেলায় গত শুক্রবার ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি ও বৃহস্পতিবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গত ২ দিন ধরে দিনাজপুরে সূর্যের দেখা মেলেনি।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, শনিবার ভোরে দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও সূর্যের দেখা মেলায় সকাল ৯টায় তাপমাত্রা বেড়ে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। তবে দু’এক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান তিনি।