২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:২৮

দুই সিটি নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতেই ইভিএম: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা  © ফাইল ফটো

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন করার জন্য আমরা ঢাকার আসন্ন দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করব, যাতে মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সময় সিইসি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ইভিএমের মাধ্যমে ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন করা সম্ভব। বিশ্বের সব দেশ থেকে ইভিএম উঠে গেছে, তা নয়। যদি জার্মানির তুলনা ধরা হয়, তাহলে তাদের প্রযুক্তি ও যে অগ্রগতি, তার সঙ্গে আমাদের মাঠপর্যায়ে ব্যবধান রয়েছে। ভোটের মাঠে ওই সব দেশের যে প্রেক্ষাপট, তার সঙ্গে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটের তুলনা করা চলে না।’

সিইসি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ইভিএমই ভোটারদের নিশ্চিত করা এবং তাঁদের ভোট দেওয়ার ব্যাপারে একটি অবস্থান সৃষ্টি করার সহজ উপায়। পাশাপাশি ইভিএম ত্রুটিযুক্ত এটাও ঠিক নয়, কোনো এক্সপার্ট এ কথা বলেনি।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করব। আমাদের ব্যবস্থাপনার মধ্যে কখনো ত্রুটি ছিল না, এখনো থাকবে না। ভোটারদের প্রতি আহ্বান থাকবে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য। আমরা ভোটারদের আহ্বান করব তাঁর পাশাপাশি প্রার্থীদেরও কর্তব্য ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হলে ভোটার সংখ্যা বাড়বে। যেমনটা ভোলার লালমোহন পৌরসভায় ৭১ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন ইভিএমের মাধ্যমে। কারণ, এখানে নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক ছিল।’

সিইসি বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী দেওয়ার কোনো দরকার নেই। সেনাবাহিনী ছাড়া অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি মাঠে থাকবে। এ ধরনের নির্বাচন পরিচালনার জন্য তাদের যথেষ্ট যোগ্যতা ও সক্ষমতা রয়েছে।

সিইসি ব্যক্তিগত সফরে গত ২৬ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর বাউফলে যান। আজ ঢাকায় ফেরার পথে বরিশালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নানা দিকনির্দেশনা দেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন।