টিসিবিও প্রতারক, তৃতীয় দিনেও ফিরে গেলেন মনু মিয়া (ভিডিও)
বৃদ্ধ মনু মিয়া। বয়স ৮০ ছুই ছুই। থাকেন রাজধানীর মুগদা এলাকায়। গত তিনদিন ধরে খামার বাড়িতে আসছেন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পক্ষ থেকে দেয়া কমমূল্যে পেঁয়াজ কেনার আসায়। কিন্তু হতাশ হয়ে প্রতিদিন বাড়ি ফিরছেন খালি হাতে।
এদিকে টিসিবির পক্ষ থেকে ৪৫ টাকা মূল্যে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রির কথা থাকলেও তার চেয়ে বেশি দাম রাখার অভিযোগ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। অনেকে আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকেও পেঁয়াজ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। অনেকে বাড়ির কাজ ফেলে ছোট্ট ছেলে-মেয়ে কে সাথে নিয়ে এসেছেন কমদামে পেঁয়াজ পাওয়ার আসায়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর খামার বাড়িতে এমনসব দৃশ্যের দেখা মিলেছে। ক্রেতারা বলছেন টিসিবির দেয়া পেঁয়াজ পর্যাপ্ত না। প্রতিদিন যে পরিমাণ পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে তার সামান্যই পাচ্ছেন তারা।
মিরপুর থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. হারুন জানান। টিসিবির নির্ধারিত দামে পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছে না। একজনকে এক কেজি পেঁয়াজ দেয়ার কথা থাকলেও দিচ্ছে দুই কেজি করে। যার ফলে অনেকে ঘন্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়েও পেঁয়াজ পাচ্ছেন না। পেঁয়াজের দাম নাগালের মধ্যে আনার দাবি জানান তিনি।
হেমায়েতপুর থেকে আসা রিক্সা চালক আব্দুর রহিম জানান, রিক্সা চালিয়ে কোন মতো দিন আনি দিন খাই। টিসিবির কম দামে পেঁয়াজ বিক্রির কথা শুনে লাইনে দাঁড়িয়েছি। গতকালও এসেছিলাম। কিন্তু পেঁয়াজ শেষ হয়ে যাওয়ায় নিতে পারিনি। আজ সকাল ১০টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি। পেঁয়াজ পাবো কিনা জানিনা।
তবে দাম বেশি রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন দুই কেজি দুই’শ গ্রাম পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে ১০০ টাকা। আমরা টিসিবির নির্ধারিত দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছি।
উল্লেখ্য ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর লাগাম ছাড়া হয়ে যায় পেঁয়াজের বাজার। বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ এনেও শান্ত করা যাচ্ছে না পেঁয়াজের বাজার।