২৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:০৬

রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রত্যাখান করে পঞ্চগড়ের ডিসিকে মুক্তিযোদ্ধার চিঠি

এবার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন দেবীগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের ভুঁইয়া। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করা এবং ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

গত ১৬ নভেম্বর ডাকযোগে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনটি পাঠিয়েছেন তিনি। আবেদনের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধ আবুল খায়ের ৬ নং সেক্টরে অধীনে একটি কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন । ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর তার নেতৃত্বে সম্মুখ যুদ্ধে হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে দেবীগঞ্জ মুক্ত হয়। তিনি দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের মুন্সীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

লিখিত আবেদনে আবুল খায়ের বলেছেন, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১৬৪ জন মুক্তিযোদ্ধা আছেন। এর মধ্যে ৪৩ জনই ভুয়া। ২০১২ সাল থেকে এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাননি। বহু আন্দোলন সংগ্রামের পর তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের সহযোগিতায় ২০০৯ সালে প্রথম দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালন হয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তার নেতৃত্বে দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে মূল উদ্যোক্তাকে অবমূল্যায়ন করে নামধারী মুক্তিযোদ্ধারা নামমাত্র অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালন করছে।

তিনি বলেন, যেখানে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা জিম্মি, সেখানে মৃত্যুর পর একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার দাফন কাফনে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেবেন, এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। তাই মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখ্যান করছি।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান চান না বলে আবেদন করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।