চট্টগ্রামে বন্য হাতির আক্রমণ, ৩ জনের মৃত্যু
হঠাৎ করেই বন্য হাতির আক্রমণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৪ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল, সৈয়দনগর ও জ্যৈষ্ঠপুরায় হাতির পৃথক আক্রমণের শিকার হন তারা।
কধুরখীল এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল করিম জানান, সকালে কধুরখীল এলাকায় শস্যক্ষেতে কাজ করার সময় আবদুল লতিফ মিস্ত্রির ছেলে আবু তাহের মিস্ত্রি (৬০) হাতির আক্রমণের শিকার হন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পূর্ব সৈয়দনগরে হাতির আক্রমণে মারা গেছেন চরণদ্বীপ বিজান বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জাকের হোছাইন (৬৫)। তিনি চরণদ্বীপ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দনগর জাকের মাস্টারের বাড়ির মৃত আবদুল মোনাফের ছেলে।
তার মেয়ে ফাহমিনা আফরোজ তারিন জানান, সকালে চাঁন্দারহাট জামে মসজিদের পাশে হাতির পাল তার বাবাকে (জাকের মাস্টার) আক্রমণ করে। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে হাতির পালটি পাহাড়ের দিকে যাওয়ার পথে শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের আমির পাড়ার আবদুল মাবুদ (৬০) নামে এক কৃষককে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি স্থানীয় আলী আহমদের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাছান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাতির আক্রমণে আবদুল মাবুদের মৃত্যু হয়েছে।
বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। হাতিগুলো দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সবার সহযোগিতা কামনা করছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোরে জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড় থেকে লোকালয়ে চলে আসে বাচ্চাসহ ৯টি হাতি। হাতিগুলো দিনভর পূর্ব কধুরখীল বায়তুল জামে মসজিদের সুপারি বাগানে অবস্থান নেয়। রোববার সকালে দুভাগে বিভক্ত হয়ে একদল কধুরখীল থেকে চরণদ্বীপের দিকে যায়, অন্যদল খরণদ্বীপ হয়ে পাহাড়ের দিকে যায়।