পেঁয়াজের নতুন নাম দিলেন পার্থ
পেঁয়াজের দাম নিয়ে দিশেহারা দেশের সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে পেঁয়াজ সবজি হাহাকারে পরিণত হয়েছে মানুষের কাছে। সর্বত্রই এখন পেঁয়াজের ঝাঁজ নিয়ে চলছে সরকারের আলোচনা-সমালোচনা। লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরাও।
এ পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের নতুন নাম দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আন্দালিব রহমান পার্থ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আন্দালিব রহমান পার্থ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
পার্থ তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কয়েকদিন পর মানুষ সিন্দুকে রেখে দিবে, উপহার হিসেবে দিবে, ছবি তুলে রাখবে আর তারপর পদ্মা সেতুতে দাড়িয়ে দুই হাতে দুটা পেয়াজ নিয়ে উন্নয়ন দেখবে... পেটে লাথির উন্নয়ন...পেয়াজের নতুন নাম দেয়া উচিত 'উন্নয়ন' ফল।’
পার্থের করা ফেসবুক স্ট্যাটাসে অনেকে মন্তব্য যোগ করেছেন। মির শাদাত নামে একজনে লিখেছেন, পিঁয়াজ কে জাদুঘরে রাখার দাবি জানাচ্ছি। মানুষ যেন কিনে না খেতে পারলেও দেখে দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর ছাড়তে পারে।
মো. জয়নাল নামে একজনে পেঁয়াজ না খাওয়ার আহবান জানিয়ে লিখেছেন, পেয়াজ খেতেই হবে তেমন কোন কথা নেই। সবাই মিলে এক সপ্তাহ বর্জন করলেই পেঁয়াজ এমনিতেই সস্তা হয়ে যাবে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী বলেছিলেন পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একথা বলার পর দিনই পেঁয়াজের দাম হয়ে গেল ১৫০ টাকা। আবার আজকে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা। পাশাপাশি আমি গুগলে সার্চ দিয়ে দেখলাম, ভারতের কৃষক কাঁদছেন। কারণ পেঁয়াজের মূল্য ৮ টাকা কেজি। আমার প্রশ্ন হলো, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে তো ভালো সম্পর্ক। সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চয়ই আমরা বা প্রধানমন্ত্রী যদি ব্যক্তিগতভাবে পদক্ষেপ নিতেন তাহলে পেঁয়াজের ক্রাইসিস থাকতো না।
তিনি আরও বলেন, পাঁচটা ভালো কাজ নষ্ট হয়ে যায় একটা খারাপ কাজের জন্য। আমাদের সরকার ফেনসিডিল ব্যবসায়ীদের ধরার পর, তারা বন্দুকযুদ্ধে মরে যায়। এভাবে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি যারা করল তারাও দুজন মরে যাক। এ রকম হলে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।