আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছে উপকূলীয় এলাকার মানুষজন
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করায় মহা বিপদসংকেত নেমেছে। তাই উপকূলীয় এলাকার মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। রোববার সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মহসীন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আমরা সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নিয়েছি, মানুষের বাড়ি ফিরতে আর কোনো বাধা নেই।’
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষকে বাড়ি ফিরতে সহায়তা করতে স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় প্রশাসন।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব মোহসীন বলেন, ‘আমরা যে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পেয়েছি সেখানে কিছু কাঁচা ঘর ভেঙেছে বলে জেনেছি। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে জানাতে পারব।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৮৮টি। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ২১ লাখ ৬ হাজার ৯১৮ মানুষ আশ্রয় নেয়।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে মহা বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।