ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে মাটিতে মিশে গেছে সাত হাজার ঘরবাড়ী

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলা। ঝড়ে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় সাত হাজার ঘরবাড়িমাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখনো উপকূলে চলছে বুলবুলের তাণ্ডব। রোববার ভোররাত থেকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয় এ ঝড়ো হাওয়া।

উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল বলেন, ঝড়ে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। মানুষের মাটির ঘরবাড়ি একটিও নেই।

তিনি আরও বলেন, ইউনিয়নে দুই হাজারেরও বেশি কাচামাটির ঘরবাড়ি ছিল। একটিও নেই। ধারণা করছি, মাটির নিচে অনেকে চাপা পড়ে গেছে। মাটির নিচে চাপা পড়া মানুষদের খোঁজা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম জানান, ঝড়ে তার ইউনিয়নের পাঁচ হাজার কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সব মাছের ঘের ভেসে গেছে। বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। গাছপালা ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম কামরুজ্জামান বলেন, ভোররাত থেকে শুরু হওয়া ঝড় ও বৃষ্টি এখনো চলছে। গাছপালা পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। গাবুরা ও বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের কাচামাটির ঘরগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে। এই দুই ইউনিয়ন বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দুই ইউনিয়নের সবকিছুই। এখনো কেউ নিহত বা আহত হয়েছে কি-না জানা যায়নি।

তিনি বলেন, ঝড় বৃষ্টি থামার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এরপরই জরুরি মুহূর্তে যা যা পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নেয়া হবে।