‘এখন থেকে নিয়মিত হারাব ভারতকে’
টি-টোয়েন্টিতে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের জয়ের পর সুগম হয়। মুশফিক আর সৌম্যের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ ভালো অবস্থায় যায়। সোম্য আউট হওয়ার পর মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিংয়ে এ জয় আসে। মুশফিক-মাহমুদুল্লাহর ঝড়ো ইনিংস আর সৌম্যের দৃঢ়তায় ভারতের মাঠে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৪৯ রানের লক্ষ্য তারা করতে নেমে ইনিংসের তিন বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় টাইগাররা। ছয় মেরে ম্যাচ জয় করা এ ম্যাচ বাংলাদেশের নায়ক মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম।
ভারতকে ১-০ তে হারিয়ে টি২০ সিরিজে ‘শুভ সূচনা’ করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য টাইগারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে টাইগারদের জয় নিয়ে অনেকেই ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘আহ্! কতদিনের অপেক্ষা আমাদের এ বিজয়ের জন্য। মুশফিক! মুশফিক!! মুশফিক!!!’। আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘সবে তো শুরু। এখন থেকে নিয়মিত হারাবো ভারতকে। ইনশাআল্লাহ্!‘।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হলেন আশরাফুল আলম খোকন লিখেছেন, ‘মাশরাফির পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এর ক্যাপটেন্সির ফ্যান হয়ে গেলাম। অভিনন্দন টাইগার্স... জয় বাংলা....’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর লিখেছেন, অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। জিএস ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ। মুশফিকুর ইউ লিটল বিউটি।
সাকিব-মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ’র স্ট্যাটাস
এদিকে বাংলাদেশের জয় নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানসহ অনেকে। সাকিব লিখেছেন, ‘চাপের মুখে দুর্দান্ত টিম পারফরম্যান্স! অভিনন্দন বাংলাদেশ! তোমরা এই জয়ের মাধ্যমে দেশকে এনে দিয়েছ একটি গৌরবময় মুহুর্ত৷’
জয়ের নায়ক মুশফিক স্ট্যাটাস দিয়েছেন শুধু ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে। মাহমুদুল্লাহ লিখেছেন, ‘আলহামদুল্লিাহ। বড় বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের সিরিজ শুরু হলো।’ সৌম্য সরকার লিখেছেন, ‘হোয়াট অ্যা গেম, হোয়াট অ্যা উইন, কনগ্রাজুয়েলেসন্স বাংলাদেশ’। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত লিখেছেন, বাংলাদেশ ভারতকে ৭ উইকেটে হারালো।
এর আগে রোববার টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। শুরু থেকেই ভারতের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন বাংলাদেশের বোলাররা। শফিউল ইসলামের দুর্দান্ত ইন সুইং ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাদে পড়েন ভারত কাপ্তান রোহিত শর্মা। এরপর আল আমিন, নাইমের বোলিং তোপে বেশিদুর এগোতে পারেনি ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে ভারত। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ আসে ১৪৯ রানের।
১৪৯ রানের লক্ষ তারা করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দীপক চাহারের প্রথম ওভারেই সাজ ঘরে ফেরেন লিটন কুমার দাস। এরপর নবাগত মোহাম্মদ নাইম আর সৌম্য রানের গতি এগিয়ে নিয়ে যান। তাদের দুইজনের ৪৪ রানের জুটি জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ব্যক্তিগত ২৭ রানে চাহালের শিকার হন নাইম।
বাংলাদেশের মিস্টার মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিক সৌম্যকে নিয়ে ভালই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু খালিল আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। বাকি কাজটা সারেন মাহমুদুল্লাহ আর মুশফিক। তাদের অনবদ্য জুটিতে ভারতের মাটিতে প্রথম কোন জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।