ভোলায় জনতার ৬ দাবি মেনে নিল প্রশাসন

  © সংগৃহীত

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় সংঘর্ষের ঘটনায় জনতার ছয় দফা দাবি মেনে নিয়েছে প্রশাসন। পরে আজ সোমবার বেলা ১১টায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ বাতিল করা হয়। দাবি মেনে নেওয়ায় ‘সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ’ সমাবেশটি বাতিল করে।

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রোববার বোরহানউদ্দিনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ থেকে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক যুবকের হ্যাক হওয়া আইডি থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা ওই বক্তব্য ছড়ানোয় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষে পুলিশের ১০ সদস্যসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

গতকাল রাতে ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুল, বরিশাল পুলিশের উপমহাপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম, ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. এনামুল হক স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সভায় বসেন। সেখানে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।

দাবিগুলো হলো,  জেলা ও থানা থেকে এসপি এবং ওসিদের প্রত্যাহার করতে হবে, ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করার অনুমতি দিতে হবে, আহত লোকজনের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে হবে, অভিযুক্ত বিপ্লব চন্দ্র শুভর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ফাঁসি দিতে হবে এবং গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে।

বোরহানউদ্দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়। পরে দাবি প্রশাসন মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। যেই অপরাধী হোক না কেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে বলে জানানো হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়ার পর আজকের সমাবেশ বাতিল করা হয়।

এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতারা বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো তারা (প্রশাসন) মেনে নেওয়ায় প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়নি।’

সংঘর্ষের ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আজিজ বাদী হয়ে ৪-৫ হাজার মানুষকে আসামি করে মামলা করেন। তবে এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ