চট্টগ্রাম ও মোংলা দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনে হাসিনা-মোদির নতুন চুক্তি
ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। দুই নেতার মধ্যে তিনটি যৌথ প্রকল্প চুক্তি হয়েছে।
শনিবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে নয়া দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। এরপর তাঁদের উপস্থিতিতেই সাত চুক্তি সই হয়। এ সময় দুই দেশের সরকার প্রধান তিনটি যৌথ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
জানা যায়, শেখ হাসিনা হায়দারাবাদ হাউজে পৌঁছালে প্রধান ফটকে গিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান নরেন্দ্র মোদি। এরপর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়। ১০ দিনের মধ্যে দুই দেশের দুই শীর্ষ নেতার এটি দ্বিতীয় বৈঠক। জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে শেখ হাসিনা ও মোদির বৈঠক হয়। বৈঠকের পর হায়দরাবাদ হাউজে শেখ হাসিনা তাঁর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন।
সমঝোতা স্মারকগুলো হলো:
উপকূলীয় এলাকায় নজরদারিতে সহযোগিতা বিনিময়ে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। সই করা সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করতে পারবে ভারত। এই পানি তারা ত্রিপুরা রাজ্যর সাবরুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে। চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের বিষয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই হয়েছে। বাংলাদেশকে দেওয়া ভারতের ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি চুক্তি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব হায়দরাবাদের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
এসব সমঝোতা স্মারক ছাড়া সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময় এবং যুব উন্নয়নে সহযোগিতা নিয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
চুক্তি ও সমঝোতাপত্র বিনিময়ের পর শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলো হলো- খুলনায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে বিবেকানন্দ ভবন এবং বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি আমদানি প্রকল্প।