স্কুলের মাঠে মাছ চাষ, খেলাধুলা বন্ধ শিক্ষার্থীদের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় স্কুলের মাঠে পানি আটকিয়ে মাছ চাষ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উপজেলার শাহজাদাপুর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ড এবং জাতীয় সঙ্গীতের সমাবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের রাস্তা বন্ধ করে পানি আটকিয়ে মাছ চাষের উপযোগী করে ইজারা দিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, বৃষ্টি হলে মাঠের পানি ড্রেন দিয়ে পাশ্ববর্তী খালে ১-২ ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে যেত, কিন্তু এখন ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় পানি আর খালে নামতে পারে না। এ কারণে তারা খেলাধুলা ও অ্যাসেম্বলি করতে পারে না। জাতীয় সঙ্গীতও গাওয়া হয় না।
এলাকাবাসী জানায়, এ মাঠে ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলাসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান করে থাকে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই এলাকার কোনো লোক মারা গেলে এই মাঠে জানাজা হতো, তাও বন্ধ হয়ে গেছে। অতি দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা প্রয়োজন।
জানা গেছে, মাছ চাষের কারণে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ড ও জাতীয় সঙ্গীতের সমাবেশসহ সার্বিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে চার জন শিক্ষক ও ১৮৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে একটি দ্বিতল ভবন রয়েছে। নিচতলায় নিয়মিত মা ও অভিভাবক সমাবেশ আর দ্বিতীয় তলায় ক্লাশ রুম হিসেবে ব্যবহত হতো। এখন তাও বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠটি বিদ্যালয় ও রাস্তা থেকে ৩-৪ ফুট নিচু হওয়ায় বৃষ্টি হলে আশপাশের পানি এসে মাঠে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন বেগম জানান, মাঠে আজিজ নামে এক লোক পানি আটকিয়ে মাছ চাষ করছে।
তবে আজিজ একা নয়, তিনি তার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে মাঠে মাছ চাষ করছেন বলে জানান বিদ্যালয়ের সভাপতি দুলারুর রহমান।
জানতে চাইলে সরাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।