'ভাগাভাগি' অন্য প্রতিষ্ঠানেও হচ্ছে, গণমাধ্যমে আসছে না: আরেফিন সিদ্দিক
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:২৪ AM , আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:২৪ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে শিক্ষকরা লজ্জিত। উন্নয়ন কাজের টাকায় ছাত্র রাজনীতিকরা ভাগ বসায়; এখান থেকে টাকা চায়; এটি অচিন্তনীয়। অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এসব ঘটছে। হয়তো এগুলো গণমাধ্যমে আসে না। ভাগাভাগিগুলো এমনভাবে হচ্ছে যে তা গণমাধ্যমে আসছে না। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা দিবস উপলক্ষে 'আমাদের শিক্ষা ও আজকের ভাবনা' শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)। স্বাশিপ সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাশিপের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সাজিদুল ইসলাম।
ড. আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজ হবে এটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবাই চাইবে। এখানে যারা ভাগ বসায়; এখান থেকে টাকা চায়; এটি অচিন্তনীয়। কেন তারা এসব করছে? শুধু কি শিক্ষার্থীদের দোষ? কারা তাদের ব্যবহার-অপব্যবহার করছে এটি দেখতে হবে। আমরা দেখেছি প্রশাসনে থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যোগসাজশে অপকর্ম করেছে। এগুলোও তদন্ত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, সততার শিক্ষা দেবেন শিক্ষকরা। এ শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি বলেই আমাদের সন্তানরা চাঁদাবাজি করছে। অভিভাবক হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে এই ব্যর্থতা আমাদের। আমরা নানাভাবে সমাজকে কলুষিত করে চলেছি। তার প্রভাব পড়ছে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে।
ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য বলেন, শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে যে জাতি সে জাতির তো কোন অন্যায় করার কথা না, কোন দুর্নীতি করার কথা না। একজন সুশিক্ষিত মানুষ কখনো মিথ্যা বলতে পারে না, সুশিক্ষিত মানুষ দুর্নীতি করতে পারে না। কিন্তু আমরা দেখছি যিনি দুর্নীতি করছেন তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। কীসের উচ্চ শিক্ষা? এটি তথাকথিত উচ্চ শিক্ষা, তার সনদ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু এ কথাটিই বলে গেছেন যে সাধারণ মানুষ দুর্নীতি করে না, দুর্নীতি করে তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিতরা।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ছাত্র ভর্তি হয়েছে, তারা ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির একমাত্র নিয়ম ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া।