২৫ আগস্ট ২০১৯, ২১:৫২

স্বপ্ন তাই যা শুনে লোকে বলে— এটা সম্ভব নাকি

  © ফাইল ফটো

সাকিব ছোট থেকে স্বপ্নপ্রেমী যুবক ছিলেন। একবার সাকিবের কাছে তার বেড়ে উঠা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, ‘ছোট একটা শহরের মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছি। শৈশব থেকে আমরা চিন্তা করি প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে ভালো ক্যারিয়ারের জন্য। হতে হবে সরকারি চাকরিজীবী, চিকিৎসক কিংবা প্রকৌশলী। স্বাভাবিকভাবে এসবই স্বপ্ন থাকে সবার। তবে আমার মনের মধ্যে ভিন্ন কিছুই ছিল।

এই জায়গায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, আমার বাবা-মা আমাকে সেই স্বপ্নের মধ্যে থাকতে দিয়েছেন। তাঁদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। তাঁদের সমর্থন ছাড়া ক্রিকেট খেলা শুরু করতে পারতাম না। কৃতিত্ব পাবেন আমার শিক্ষকেরাও। তাঁরাও আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। ক্রিকেট আমার কাছে সবকিছু, এটাই প্রথম ভালোবাসা। যেটা বললাম, সবকিছু। আমার জীবনে যা কিছু ঘটেছে, সবই ক্রিকেটকে ঘিরে।’

বাংলাদেশের হয়ে খেলা সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত সাকিবকে বিশ্বের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার বলে গণ্য করা হয়। এরআগে ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার অভিষেক হয়।

সাকিব বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-এর একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। সাকিব ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে আইসিসির খেলোয়াড়দের র‍্যাংকিং অনুসারে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০ প্রত্যেক ক্রিকেট সংস্করণে প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এক নম্বর অল-রাউন্ডার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

শনিবার তাকে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক। স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন তার সঙ্গে সাকিব আল হাসানের সাক্ষাৎকারের কথা। লিখেছেন, ‘‘স্বপ্ন তাই যা শুনলে লোকে বলবে এটা সম্ভব নাকি।’’ স্বপ্ন প্রেমীদের উৎসাহিত করতে মনে হয় সাকিব এমন কথা বলেছেন।

 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেক সাকিবের রেকর্ডের শেষ নেই। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। সেখানে ৮৬ বলে ৫৩ রান করেন সাকিব। ওই ম্যাচে ভারতকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে বাংলাদেশ।

২০১১ সালের বিশ্বকাপে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩৭০ রানের বিশাল স্কোর করে। জবাবে ৯ উইকেটে ২৮৩ রান করে বাংলাদেশ। ওই আসরের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান করেন ৫০ বলে ৫৫ রান।

২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ২৬৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে ৫১ বলে ৬৩ রান করেন সাকিব। আফগানিস্তানকে ১৬২ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ।