‘চারদিকে ডেঙ্গু হচ্ছে, তাই বেটার বৌকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি’
মাগুরায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতায় সেখানকার জনজীবনে নেমে এসেছে আতঙ্ক। গত ১০ দিনে সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৫৫ জন। মারা গেছেন এক গৃহবধূ। ডেঙ্গু আক্রান্ত স্বজনদের অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন অনেকে। কালাম উদ্দিন নামে একজনে জানান, চারদিকে ডেঙ্গু হচ্ছে তাই বেটার বৌকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি।
এদিকে হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না থাকার অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তবে আতঙ্কিত না হয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ ঘোষিত নিয়মনীতি মানার পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত স্বজনদের অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন এমন আরেকজন সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, চারজন জ্বরে আক্রান্ত। আর একজন ডেঙ্গু জ্বরে ভুগছে। তাই বাকি ৫ জনকে আত্মীয়ের বাড়ি পাঠিয়েছি।
বাসিন্দাদের এমন আতঙ্ক বলে দেয়, ডেঙ্গু কতটা ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে মাগুরার গ্রামগুলোতে। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে পরিবারের নারী ও শিশুদের অন্যত্র আত্মীয় স্বজনদের বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন অনেকে।
এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার পুটিয়া গ্রামের গৃহবধূ জয়া মিত্র ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান। এরপর থেকেই ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
তবে, ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করতে গ্রামে গ্রামে কাজ করে যাচ্ছেন ১৭ সদস্য বিশিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম। আতঙ্কিত না হয়ে বসতভিটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ উপজেলা প্রশাসনের।
উপজেলার এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্ভিস অফিস কার্যকরী ভূমিকা রাখছেন। আমরা আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিরোধে কাজ করছি। গত ১০ দিনে জেলায় ৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন নতুন আরো ১৬ জন রোগী।