ধূমপান ছাড়তে চায় ৭০% মানুষ
বাংলাদেশের আসক্ত ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশই ধূমপান ছাড়তে চায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) এ বছরের প্রতিবেদনে ধূমপান ছাড়তে আগ্রহীদের আনুপাতিক হারের তালিকায় এ তথ্য স্থান পেয়েছে। গত শুক্রবার বৈশ্বিক ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ধূমপান ছাড়তে আগ্রহীদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে কোনো ‘টোল ফ্রি’ ফোন নম্বর নেই। নিকোটিনের বিকল্প থেরাপি নেওয়ারও কোনো ব্যবস্থা নেই।
জাতিসংঘ বলেছে, তামাকজাত পণ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রগতি হয়েছে। তবে প্রাণঘাতী তামাক পণ্যের ব্যবহার ছাড়তে জনগণকে সহযোগিতা করার জন্য আরো বড় পরিসরে উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধূমপানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেক সরকার অগ্রগতি করেছে। বর্তমান বিশ্বের ৫০০ কোটি লোক এমন দেশগুলোতে আছে, যেখানে হয় ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নয়তো সিগারেট বা তামাকপণ্যের মোড়কে সচিত্র সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক দেশ এখনো তাদের জনগণকে ধূমপান ছাড়তে সহযোগিতা দেওয়ার মতো কার্যকর নীতি গ্রহণ করেনি।
প্রতিবেদনে দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশগুলোর আরেকটি তালিকায় দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দৈনিক ধূমপায়ীর হার ১৯ শতাংশ। এই হার ইন্দোনেশিয়ায় ২৮ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ১৭ শতাংশ, মিয়ানমারে ১৬ শতাংশ, নেপালে ১৫ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কা ও ভারতে ১০ শতাংশ। এই অঞ্চলে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ কর থাইল্যান্ডের পরই বাংলাদেশে।