২৩ জুলাই ২০১৯, ১৯:২৪

বাবার জন্মদিনে সোহেল তাজের আবেগঘন স্ট্যাটাস

১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রাখা তাজউদ্দীন আহমদের জন্ম। গাজীপুরের কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। আজ এই মহান নেতার ৯৪তম জন্মবার্ষিকী। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও স্বাধীনতা সংগ্রামের এই মহানায়কের জন্মবার্ষিকীতে নিজের ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।

বাবার জন্মদিনে সোহেল তাজ লিখেন, ‘আমাদের সবারই একটি পরিচয় আছে- আমরা সবাই কারও না কারও সন্তান। আমাদের বাবা/মা আছে, দাদা/দাদি, নানা/নানী আছে। তেমনি একটি দেশের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায় তার ইতিহাসে। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস হচ্ছে একটি গৌরবের ইতিহাস, মুক্তি ছিনিয়ে আনার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ করে তিরিশ লক্ষ শহীদসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার ইতিহাস। প্রশ্ন হচ্ছে কেন সেদিন বাংলার যুবকরা, এমনকি ১১/১২ বছর বয়সের কিশোরও স্বেচ্ছায় নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল?’

আজকে আমরা যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে জিজ্ঞেস করি, তিনি কেন নিজের জীবন বাজি রেখে সেদিন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন? তিনি নির্দ্বিধায় বলবেন মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য, সোনার বাংলার স্বপ্নের জন্য।

সোনার বাংলার স্বপ্ন? কী এমন স্বপ্ন এটা যার জন্য জীবন দিতে তারা প্রস্তুত ছিলেন? এটা কি কোনো সোনা দিয়ে তৈরি ঘর-বাড়ি বা দালান-কোঠা?

উত্তরে তিনি নির্দ্বিধায় বলবেন যে, সোনার বাংলার স্বপ্ন হচ্ছে এমন একটা সুন্দর দেশ যেখানে সব মানুষ- নারী পুরুষ, গরিব-ধনী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার নিয়ে নিরাপদে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। এমন একটি স্বপ্নের দেশ যেখানে একটি মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা যাবে না। এমন একটি দেশ যেখানে একটি মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। এমন একটা সোনার বাংলা যেখানে আমাদের সন্তানরা স্কুল কলেজ মাদরাসায় নির্দ্বিধায় নিরাপদে শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। এমন একটি সমাজ ব্যাবস্থা যেখানে প্রাধান্য দেয়া হবে মেধাকে, যেখানে সবাই পাবে ন্যায় বিচার, আইন হবে সবার জন্য সমান, যেখানে দুর্নীতি, দলীয় করণ কোনো স্থান পাবে না।

তিনি (মুক্তিযোদ্ধা) বলবেন এই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আর এই স্বপ্ন অর্জনের লক্ষ্যে সেদিন মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ।’

‘শুভ জন্মদিন বঙ্গতাজ – তোমাকে ধন্যবাদ।’