বনানীতে নয়, রংপুরেই দাফন হচ্ছেন এরশাদ
অবশেষে সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ দাফন হচ্ছে রংপুরে। রংপুরের মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ। পাশে তার জন্য কবরের জায়গা রাখার অনুরোধও করেন রওশন এরশাদ।
মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।
তিনি জানান, রংপুরের মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ। পাশে তার জন্য কবরের জায়গা রাখার অনুরোধও করেন রওশন এরশাদ।
এর আগে, মরদেহ রংপুরের পল্লী নিবাসে নয়, ঢাকার সামরিক কবরস্থানেই দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই ও পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের। মঙ্গলবার সকালে এরশাদের মরদেহ তার নিজের এলাকা রংপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজ দুপুরে রংপুরে জানাজা শেষে রাজধানীর বনানীতে সেনা কবরস্থানেই দাফন হবে বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের।
‘উনার শেষ ইচ্ছানুযায়ী বনানীতে সেনাবাহিনীর কবরস্থানেই তাকে সমাহিত করা হবে। এই কবরস্থান ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হলেও যেকোনো সময় যে কেউ সেখানে যেতে পারেন’-যোগ করেন জিএম কাদের।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন।
রোববার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় এবং বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ মঙ্গলবার রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে চর্তুথ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর ৩ (সদর) আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি এ আসন থেকে টানা ছয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।